মহাস্থান নিউজ:
সরকারি হিসাবে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমেছে। সদ্যবিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরের শেষ মাস অর্থাৎ জুন মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে (মাসওয়ারি বা মাসভিত্তিক) দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ, যা আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জুন মাসের ভোক্তা মূল্যসূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ তথ্যে মূল্যস্ফীতির এ পরিসংখ্যান দেয়া হয়।
এই মূল্যস্ফীতির অর্থ হলো ২০২২ সালের জুন মাসে দেশের মানুষ যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় পেয়েছিল, এই বছরের জুন মাসে তা কিনতে ১০৯ টাকা ৭৪ পয়সা খরচ করতে হয়েছে।
দেশে মে মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। অর্থাৎ সে সময় ওই পণ্য বা সেবা কিনতে খরচ হয় ১০৯ টাকা ৯৪ পয়সা। ওই মূল্যস্ফীতি ছিল দেশের গত ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর চেয়ে বেশি ছিল ২০১১ সালের মে মাসে। সেই সময় দেশে মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ২ শতাংশ।
মহামারি এবং তৎপরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলসহ সব ধরনের খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশে মূল্যস্ফীতির এমন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে গত অর্থবছরের প্রথম থেকেই। যদিও মাঝে কিছুটা নিম্নমুখিতা ছিল।
বিদায়ী অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ। ঠিক এমন এক সময়ে গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার জ্বালানি তেলের দাম ৪২ থেকে ৫১ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ায়। এর পরপরই বাড়ানো হয় সব ধরনের পরিবহন ভাড়া। এই দুইয়ের প্রভাবে বেড়ে যায় প্রায় সব পণ্যের দাম। ফলে পরের মাস আগস্টে মূল্যস্ফীতি এক লাফে বেড়ে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশে উঠে যায়।
মাঝে কয়েকটা মাস বাড়ার প্রবণতায় লাগাম থাকলেও রোজাকে সামনে রেখে নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে থাকে, এতে ফের বাড়তে থাকে মূল্যস্ফীতি। জানুয়ারিতে যেখানে মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ, ফেব্রুয়ারি মাসে তা বেড়ে হয় ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ। মার্চ মাসে মূল্যস্ফীতি আরও বেড়ে হয় ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ। মে মাসে এক যুগের রেকর্ড গড়ার আগে এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ।