মহাস্থান নিউজ:
রাজশাহীর দুর্গাপুরে রাতের অন্ধকারে প্রতিবেশীর ঘরের জানালায় উঁকি দেওয়ায় তাজউদ্দিন (৪৫) নামের এক বিএনপির নেতাকে হাতেনাতে ধরে গণধোলাই দিয়েছে গ্রামবাসী। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামে হয়েছে শালিস।
শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত বিএনপি নেতা তাজউদ্দিন ওই গ্রামের মৃত তাহের উদ্দিনের ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্র জানায়, শুক্রবার গভীর রাতে তাজউদ্দিন আলীপুর গ্রামের শাজাহান মিয়ার বাড়িতে ঘটেছে ঘটনাটি। ওই রাতে শাজাহান রাতের খাবার খেয়ে স্ত্রীকে নিয়ে শুয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক সাড়ে ১০ টার দিকে তাজ উদ্দিন জানালার সরিয়ে ফাঁক দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখছিলেন। প্রতিবেশিরা বিষয়টি দেখে ফেলে এবং তাজ উদ্দিনকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। ঘটনাস্থলেই তাকে গণধোলাই দেওয়া হয়। পরে তাজ উদ্দিনকে বেঁধে রেখে গামের মাতব্বরকে খবর দেওয়া হয়। রাতেই গ্রামের ভেতরে বসে শালিস। শালিসে তাজ উদ্দিন নিজের দোষ স্বীকার করেন।
ওই সময় তাকে নগদ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আরও দেড় লাখ টাকা জরিমানা নির্ধারণ করে পরে পরিশোধ করতে বলা হয় তাজ উদ্দিনকে। তাজ উদ্দিনের আত্মীয় স্বজনেরা মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
দুর্গাপুরের নওপাড়া ইউপি সদস্য আবুল কালাম জানান, শালিসে তাজ উদ্দিন নিজের দোষ স্বীকার করেন। আদায়কৃত জরিমানার টাকা গ্রামের গরীব দুঃখী মানুষের মাঝে বিতরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জরিমানার টাকা মাতব্বর নাদের হাজীর কাছে রাখা হয়েছে।
এলাকাবাসী আরও জানান, প্রায় ১০ বছর আগে তাজ উদ্দিন একই অপকর্ম করেছিলেন। ধরা পড়ে নিজের দোষ স্বীকার করে জরিমানা দিয়েছিলেন। তবে মুচলেকায় এই কাজ আর জীবনে করবেন না বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু ফের সে একই কাজে করেছেন। এদিকে নওপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলী জানান, তাজউদ্দিন বিএনপির একজন কর্মী। তবে সে দলের কোনো উল্লেখযোগ্য পদে নেই।
দুর্গাপুর থানার ওসি নাজমুল হক বলেন, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। তবে কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ করেননি।