মহাস্থান নিউজ:
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর গোকুল গ্রামে নাকবিহীন ও এক চোখের গরুর বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির মাথার ওপরে রয়েছে তার কপাল। নাক না থাকায় মুখ দিয়েই চলছে শ্বাস ও প্রশ্বাসের কার্যক্রম।
ঘটনাটি জানাজানির পর থেকে বাছুরটি এক নজর দেখতে উৎসুক জনতার বাছুরের মালিক পঙ্কজ বর্মনের বাড়িতে ভিড় করেছন।
ফুলবাড়ী উপজেলা সদর থেকে প্রায় চার কিলোমিটার গোকুল গ্রামের পঙ্কজ বর্মনের বাড়িতে রোববার বিকেলে দেখা গেছে, নাক বিহীন, মাথার ওপরে এক চোখা অদ্ভুদ আকৃতির গরুর বাছুরটি আঙ্গীনার মাটিতে শুয়ে আছে। বাছুরটির চার পা ও লেজসহ অন্যান্য শারীরিক গঠন স্বাভাবিক থাকলেও মাথার ওপরে কপাল। সেই কপালেই রয়েছে একটি চোখ। নাক না থাকায় মুখ দিয়েই চলছে শ্বাস-প্রশ্বাসের কার্যক্রম। বাড়িতে উৎসুক জনতার ভিড় দেখা গেছে। তবে বাছুরের মালিক পঙ্কজ বর্মন মা গরু থেকে দুধ সংগ্রহ করে বোতলে ভরে বাছুরকে খাওয়াতে দেখা গেছে।
বাছুরের মালিক পঙ্কজ বর্মন বলেন, তার দুটি গাভীর মধ্যে একটি গর্ভবর্তী হওয়ার প্রায় ১০ মাস আগে স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসকে ডেকে গরুটিকে শাহীওয়াল জাতের গরুর ভেক্সিন দেন। গরুটি শনিবার (১৬ জুন) বিকেলে প্রসব ব্যথা উঠার কিছুক্ষণ পরেই স্বাভাবিক নিয়মে একটি বাছুর জন্ম দেয়। লাল রংয়ের জন্ম নেওয়া বাছুরটির শারীরিক আকার আকৃতি স্বাভাবিক থাকলেও বাছুরটির নাক নেই, তাছাড়া কপালের ওপরে একটি মাত্র চোখ রয়েছে। মুখ দিয়েই শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছে বাছুরটি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, এটি একটি জেনেটিক্যালি ব্যতিক্রম ঘটনা। মানুষের ক্ষেত্রেও যেমন প্রতিবন্ধী শিশু জন্ম নিয়ে থাকে, তেমনি গাভীর বাছুরটির ক্ষেত্রেও এমন ঘটনা ঘটেছে। বাছুরটি এখনও বেঁচে আছে, তবে কতক্ষণ বাঁচবে তা বলা মুশকিল।