মহাস্থান নিউজ:
বগুড়ার তালোড়া পৌর নির্বাচনে বিএনপি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত নেতাদের মধ্যে ছয়জন নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিতদের মধ্যে তালোড়া পৌর বিএনপির বহিস্কৃত সভাপতি আব্দুল জলিল খন্দকার মেয়র পদে জয় লাভ করেন। বাকি পাঁচজন কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হন।
গতকাল বুধবার বিকেলে দুপচাঁচিয়া উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে ভোটের ফলাফল জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও তালোড়া পৌর নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান। ওই দিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ইভিএম মেশিনে তালোড়া পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনে আব্দুল জলিল খন্দকার জগ প্রতীকে ৬ হাজার ৯২৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হন। বিএনপি থেকে বহিস্কৃত অন্য নেতাদের মধ্যে ১ নম্বর ওয়ার্ডে পানির বোতল প্রতীকে ৪৩৯ ভোট পেয়ে কাউন্সিলর হয়েছেন সৈয়দ আবু হাসান আজাদ। তিনি পৌর বিএনপির সাবেক সদস্য।
২ নম্বর ওয়ার্ড উটপাখি প্রতীকে কাউন্সিলর হয়েছেন পৌর বিএনপির বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম আলী মুকুল। তিনি ভোট পেয়েছেন ৬৩৭ টি। পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ইসরাফিল হোসেন খাঁন বোতল প্রতীকে ৩২৩ ভোট পেয়ে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হন। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন পৌর বিএনপির সাবেক সহস্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক হাসেম আলী প্রামাণিক। উটপাখি প্রতীক নিয়ে তিনি ভোট পেয়েছিলেন ৬৫১ টি।
জবাফুল প্রতীকে ১ হাজার ৬৯৪ ভোট পেয়ে পৌর বিএনপির সাবেক সহমহিলা বিষয়ক সম্পাদক সোনিয়া রাজভর সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে ৩ এর কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলর ছাড়া আরও ছয় জন বিএনপির বহিস্কৃত নেতা পৌর নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। গত ১৩ জুন দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে এই তালোড়া পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নেয়ায় পৌর বিএনপির ১২ নেতাকে বহিস্কার করে কেন্দ্রীয় কমিটি। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু।
এ ছাড়া তালোড়া পৌরসভার নির্বাচনে ৩নং ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর নির্বাচিত হন আমিনুল ইসলাম। অন্য কাউন্সিলরা হলেন ৪নং ওয়ার্ডে সাবু প্রাং, ৫নং ওয়ার্ডে রেহান সরকার, ৬নং ওয়ার্ডে শাহিনুর ইসলাম প্রাং ও ৯নং ওয়ার্ডে মোস্তাফিজুর রহমান। সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ১ নম্বরে মহিলা কাউন্সিলর রাজিয়া সুলতানা এবং ২নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর নারগিছ।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, তালোড়া পৌরসভায় মোট ভোটার ১৬ হাজার ৭৬ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৮ হাজার ৭১ এবং পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ৫ জন। পৌর নির্বাচনে মোট ভোটগ্রহণ হয়েছে ৭৬ দশমিক ২৬ শতাংশ।
এ পৌর নির্বাচনে ১২ জন সংরক্ষিত নারী ও ৩৯ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী অংশ নিয়েছেন।
পৌরসভা নির্বাচনে নিরাপত্তার জন্য ৯ কেন্দ্রে ১৯৬ জন পুলিশ, ৭২ জন আনসার ও ২ প্লাটুন বিজিবির পাশাপাশি ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করেন।