মহাস্থান নিউজ:
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের পানিতে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি শুরু করছে। পানি বৃদ্ধির কারনে নদীর বাম তীর সহ বিভিন্ন চরে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গনের সাথে যুক্ত হয়েছে বিভিন্ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ও। এছাড়াও শত শত বিঘা চরের ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় সারিয়াকান্দির কাছে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ৬৯ সে:মিটার।
তবে পানি এখনও বিপদসীমা প্রায় ৫ফুট নিচে রয়েছে। তবে নদীর পানিতে প্রচন্ড স্রোত ও ঘূর্ণাবর্তের কারনে নদীর বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
ডান তীরে ভাঙ্গন না থাকলেও বাম তীরে দেখা দিয়েছে নদীর ব্যাপক ভাঙ্গন। এ কারণে চর ঘাগুয়া, উত্তর টেংরাকুড়া, পাকুরিয়া চর, মানিকদাইড়, শিমুলতাইড়, চর দলিকা ও বেড়া পাঁচবাড়িয়া চরে ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এরই মধ্যেই এসব চর থেকে শত
শত বিঘা আবাদী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। চালুয়াবাড়ী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শওকত আলী সরকার জানান, এই ইউনিয়নে ভাঙ্গন সবচেয়ে বেশী। বিশেষ করে মানিকদাইড়, শিমুলতাইড় ও চরদলিকায় নদী ভাঙ্গনের কারনে এখান মানুষ দিশেহারা। শিমুলতাইড় চরের শিমুলতাইড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নদী গর্ভে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। বিদ্যালয় থেকে যমুনা নদী ২ ফুট দুরে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও চালুয়াবাড়ী ইউনিয়নের ভাঙ্গরগাছা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় যমুনা নদী ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডে সারিয়াকান্দিস্থ উপ-
বিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ূন কবির বলেন, যমুনা নদীতে বাড়ছে, তবে এখনই বন্যার সম্ভাবনা নেই। তবে ২ দিনের পর থেকে পানি বৃদ্ধি পাওয়া বন্ধ হতে পারে।
এ ব্যাপারে সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ভারপ্রাপ্ত) সবুজ কুমার বসাক বলেন, নদী ভাঙ্গনের খবর আমারা পেয়েছি এরই মধ্যে আমি চালুয়াবাড়ী ও কাজলা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে।
এছাড়াও ভাঙ্গন কবলিত এলাকা বিভিন্ন স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ড বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন প্রতিরোধের চেষ্টা করছেন।