মহাস্থান নিউজ:
সরকারি কিংবা ঈদের ছুটি ঘোষণা না করলেও দুই দিন ধরে বন্ধ রয়েছে কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের পার্বতীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। গত বৃহস্পতিবার ছুটির পর আর খোলা হয়নি স্কুলটি, হয়নি কোনও পাঠদান। তোলা হয়নি জাতীয় পতাকা। সোমবার (১৯ জুন) যাত্রাপুরের চর পার্বতীপুরে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও অভিভাবকরা জানান, স্কুলটিতে চার জন শিক্ষক কর্মরত। এমনিতেই তারা নিয়মিত আসেন না। গত বৃহস্পতিবার স্কুল ছুটির পর রবিবার আবারও ক্লাস শুরুর কথা থাকলেও খোলা হয়নি। শিক্ষার্থীরা গিয়ে ফেরত এসেছে। সোমবারও একই চিত্র ছিল। স্কুলে কোনও শিক্ষক আসেননি। এমনকি জাতীয় পতাকাও উত্তোলন হয়নি। শিক্ষকরা কেন আসেননি, কেন স্কুল বন্ধ তা কোনও শিক্ষার্থী কিংবা অভিভাবক বলতে পারেননি।
মঙ্গলবার (২০ জুন) পাঠ কার্যক্রম চালানোর পর আগামী বুধবার থেকে পবিত্র ঈদুল আজহার বন্ধ হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু তার আগেই রবিবার থেকে স্কুলটির শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
ওই স্কুলের এক শিক্ষার্থীর বাবা ও স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুর আলী খান বলেন, ‘রবিবার ও সোমবার দুই দিন ধরে স্কুল বন্ধ। ছেলে স্কুলে গিয়ে ফেরত আসছে। শিক্ষকরা কেন আসছেন না, এটা আমি জানি না, তাদের কী সমস্যা। আল্লাহ ভালো জানেন।’
এলাকাবাসী আলম মিয়া বলেন, ‘দুই দিন ধরি স্কুল বন্ধ। কোনও মাস্টার আইসে না। পতাকাও ওঠে না।’
স্কুল বন্ধ থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক লুবনা আক্তার। তিনি বলেন, ‘নৌকা না পাওয়ায় গতকাল স্কুলে যেতে পারিনি। বাকি শিক্ষকরাও যেতে পারেননি। সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত বৃষ্টি হওয়ায় শিক্ষকরা যেতে পারেননি। নৌকা চলাচল বন্ধ ছিল।’
স্কুল বন্ধ থাকার বিষয়ে কিছুই জানেন না বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নুর খাজনা। তিনি বলেন, ‘স্কুল কেন বন্ধ আমি জানি না। নদীতে পানি বাড়ার কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে কিনা তাও আমাকে জানানো হয়নি।’ পরে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্কুল বন্ধ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সভাপতি।
সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) নিখিল চন্দ্র বলেন, ‘এমনটা হওয়ার কথা নয়। বিষয়টি আমাকে জানানো হয়নি। আমি খোঁজ নিচ্ছি।’