মহাস্থান নিউজ:
রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনের প্রচারণার বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে। উৎসবমুখর ও উত্তেজনাপূর্ণ প্রচারণা শেষে এখন নিরব নির্বাচনি পরিবেশ। বুধবার (২১ জুন) এই উৎসবের সমাপ্তি দেখবে নগরবাসী। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে এবং একই সঙ্গে বিজয়ের সুর শোনার অপেক্ষার প্রহর গুনছে ভোটাররা। চলছে নির্বাচন অনুষ্ঠানের শেষ প্রস্তুতি।
রাজশাহী সিটি নির্বাচনকে ‘মডেল নির্বাচন’ হিসেবে উপস্থাপনের ঘোষণা দিয়ে শেষ সময়ের প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে নির্বাচন কমিশন। অনন্ত ৬০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতির প্রত্যাশার কথা জানাচ্ছেন প্রার্থীরা। একই প্রত্যাশা নির্বাচন কমিশনেরও।
শেষ দিনে (সোমবার) বিশাল মানুষের ঢল নিয়ে নগরীতে প্রচারণা চালিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দল সমর্থিত নৌকার মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এর আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। এ সময় পূর্ব ঘোষিত নির্বাচনি ইশতেহার স্মরণ করিয়ে দিয়ে উন্নয়নের অব্যাহত ধারা ঠিক রেখে রাজশাহীবাসীর ভাগ্যের কল্যাণে নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান লিটন। নির্বাচনে ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ ভোট কাস্টিং হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, মেয়র পদে আমিসহ তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। ৩০টি সাধারণ ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। সব মিলিয়ে ২১ জুন উৎসব ও আনন্দমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি মেয়র পদে নির্বাচন না করলেও কাউন্সিলর পদে তাদের নেতাকর্মীরা আছে। তবে খুশি হতাম বিএনপিসহ সব দল যদি দলীয়ভাবে নির্বাচনে আসতো।
কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের প্রভাব মেয়র পদে পড়বে কিনা এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তাতে বড় ধরনের কোনও ঘটনার আশঙ্কা নেই। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের তালিকা ইতোমধ্যে তারা করেছে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও সজাগ থাকবে।
নির্বাচনে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতার চেয়েও বেশি আলোচিত হচ্ছে ভোটার উপস্থিতির বিষয়। বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নির্বাচন বর্জন করেছে। বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলেও তাদের বহিষ্কৃত ১৬ ও জামায়াতের ১১ জন প্রতিনিধি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এতে ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক পর্যায়েই থাকবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের ভাষ্য, স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে দলের কোনও চাপ নেই। মানুষের সেবা করার জন্য প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিএনপির বহিষ্কৃত প্রার্থীরা বলছেন, জনগণের প্রত্যাশার কারণেই তারা নির্বাচনে এসেছেন। দল তাদের বহিষ্কার করলেও মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সমর্থন এখনও আছে। সুতরাং ভোটার উপস্থিতি খুবই ভালো থাকবে।
জাতীয় পার্টির মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের মেয়রপ্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন বলেন, আমরা সব মানুষের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। বাজার থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কথা বলেছি। বেশিরভাগ মানুষই জানিয়েছেন তারা ভোট দিতে আসবেন।
জাকের পার্টি মনোনীত গোলাপ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী লতিফ আনোয়ার সুপ্ত বলেন, নির্বাচনে মহানগরীর প্রতিটি এলাকায় গিয়ে গণসংযোগ করেছি। ভোটাররা ভোট কেন্দ্র যাবেন বলে জানিয়েছেন। নির্বাচনে অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা না ঘটলে ভোটাররা ভোট প্রয়োগ করবেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে এরইমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের আয়তন ৯৬ দশমিক ৭২ বর্গকিলোমিটার। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২। এর মধ্যে নতুন ভোটার সংখ্যা ৩০ হাজার ১৫৭। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৬ জন। এবার সিটির ৩০টি ওয়ার্ডেই ইলেকট্রনিক্স ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনের প্রচারণার বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে। উৎসবমুখর ও উত্তেজনাপূর্ণ প্রচারণা শেষে এখন নিরব নির্বাচনি পরিবেশ। বুধবার (২১ জুন) এই উৎসবের সমাপ্তি দেখবে নগরবাসী। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে এবং একই সঙ্গে বিজয়ের সুর শোনার অপেক্ষার প্রহর গুনছে ভোটাররা। চলছে নির্বাচন অনুষ্ঠানের শেষ প্রস্তুতি।
রাজশাহী সিটি নির্বাচনকে ‘মডেল নির্বাচন’ হিসেবে উপস্থাপনের ঘোষণা দিয়ে শেষ সময়ের প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে নির্বাচন কমিশন। অনন্ত ৬০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতির প্রত্যাশার কথা জানাচ্ছেন প্রার্থীরা। একই প্রত্যাশা নির্বাচন কমিশনেরও।
শেষ দিনে (সোমবার) বিশাল মানুষের ঢল নিয়ে নগরীতে প্রচারণা চালিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দল সমর্থিত নৌকার মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এর আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। এ সময় পূর্ব ঘোষিত নির্বাচনি ইশতেহার স্মরণ করিয়ে দিয়ে উন্নয়নের অব্যাহত ধারা ঠিক রেখে রাজশাহীবাসীর ভাগ্যের কল্যাণে নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান লিটন। নির্বাচনে ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ ভোট কাস্টিং হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, মেয়র পদে আমিসহ তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। ৩০টি সাধারণ ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। সব মিলিয়ে ২১ জুন উৎসব ও আনন্দমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি মেয়র পদে নির্বাচন না করলেও কাউন্সিলর পদে তাদের নেতাকর্মীরা আছে। তবে খুশি হতাম বিএনপিসহ সব দল যদি দলীয়ভাবে নির্বাচনে আসতো।
কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের প্রভাব মেয়র পদে পড়বে কিনা এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তাতে বড় ধরনের কোনও ঘটনার আশঙ্কা নেই। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের তালিকা ইতোমধ্যে তারা করেছে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও সজাগ থাকবে।
নির্বাচনে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতার চেয়েও বেশি আলোচিত হচ্ছে ভোটার উপস্থিতির বিষয়। বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নির্বাচন বর্জন করেছে। বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলেও তাদের বহিষ্কৃত ১৬ ও জামায়াতের ১১ জন প্রতিনিধি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এতে ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক পর্যায়েই থাকবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের ভাষ্য, স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে দলের কোনও চাপ নেই। মানুষের সেবা করার জন্য প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিএনপির বহিষ্কৃত প্রার্থীরা বলছেন, জনগণের প্রত্যাশার কারণেই তারা নির্বাচনে এসেছেন। দল তাদের বহিষ্কার করলেও মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সমর্থন এখনও আছে। সুতরাং ভোটার উপস্থিতি খুবই ভালো থাকবে।
জাতীয় পার্টির মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের মেয়রপ্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন বলেন, আমরা সব মানুষের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। বাজার থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কথা বলেছি। বেশিরভাগ মানুষই জানিয়েছেন তারা ভোট দিতে আসবেন।
জাকের পার্টি মনোনীত গোলাপ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী লতিফ আনোয়ার সুপ্ত বলেন, নির্বাচনে মহানগরীর প্রতিটি এলাকায় গিয়ে গণসংযোগ করেছি। ভোটাররা ভোট কেন্দ্র যাবেন বলে জানিয়েছেন। নির্বাচনে অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা না ঘটলে ভোটাররা ভোট প্রয়োগ করবেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে এরইমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের আয়তন ৯৬ দশমিক ৭২ বর্গকিলোমিটার। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২। এর মধ্যে নতুন ভোটার সংখ্যা ৩০ হাজার ১৫৭। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৬ জন। এবার সিটির ৩০টি ওয়ার্ডেই ইলেকট্রনিক্স ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।