মহাস্থান নিউজ:
বর্ণাঢ্য আয়োজনে বগুড়ার পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (আরডিএ) ৪৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে। সোমবার সকাল ৯টার দিকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়।
এরপর আনন্দ শোভাযাত্রাসহ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করে আরডিএ। পরে প্রতিষ্ঠানটির মিলনায়তনে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে পল্লী উন্নয়ন একাডেমী, বগুড়ার অর্জন ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন আরডিএর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. খুরশিদ ইকবাল রেজভী। এ সময় প্রধান অতিথি ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও বাজেট) মো. শাহাদাৎ হোসাইন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. মো. শফিকুর রশিদ, যুগ্ম পরিচালক, আরডিএ, বগুড়া। মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একাডেমীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ড. এম এ মতিন ও সাবেক পরিচালক ড. একেএম জাকারিয়া। আলোচনায় বক্তারা একাডেমীর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আজ অবধি বিভিন্ন কর্মকান্ড, অর্জন, বিভিন্ন ব্যক্তির অবদান নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন।
বক্তারা জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রচেষ্টায় স্বাধীনতাত্তোর ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ১৯৭৪ সালের ১৯ জুন আরডিএ প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে ১৯৯০ সালে আইন দ্বারা এটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
জন্মলগ্ন থেকে বগুড়ার আরডিএ ৬ লাখ৬৮ হাজার ৪২৯ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এর মধ্যে শুধু নারী প্রশিক্ষাণার্থী রয়েছেন ২ লাখ ৮ হাজার ৭৮০ জন। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি থেকে ৫৫৯টি গবেষণা কর্ম সম্পাদনা, ৫৩টি প্রায়োগিক গবেষণা প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং বহুসংখ্যক সবুজ উদ্ভাবনী মডেলের উন্নয়ন সাধন করেছে।
প্রধান অতিথি অতিরিক্ত সচিব মো. শাহাদাৎ হোসাইন বলেন, বগুড়ার আরডিএর গবেষণার মাধ্যমে গ্রামীণ সমস্যা যেমন নিরূপণ হচ্ছে তেমনি এর উদ্ভাবিত মডেলগুলোর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি আজ ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ হিসেবে গড়ে উঠেছে।
তিনি আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি বগুড়ার আরডিএর কর্মকাণ্ড আরও বেগবান হবে। যা বাংলাদেশকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ইতিবাচক সুবিধা গ্রহণের পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন ২০৪১ সালের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে সরাসরি অবদান রাখবে।
সেমিনার শেষে দুপুরে একাডেমির জামে মসজিদে এক দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এরপর সকলের অংশগ্রহণে মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতির পর সকল আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে স্মৃতিচারণ ও একাডেমি পরিদর্শন করা হয়। পরে সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনব্যাপী এ কার্যক্রমের সমাপ্তি হবে।