কয়েকদিন থেকেই ঠাকুরগাঁওয়ে চৈত্রের তীব্র রোদে পুড়ছে জেলাবাসী। বেলা বাড়ার সঙঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে তাপমাত্রা। দিনে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে তাপমাত্রা শুরু হয়ে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে থাকে। তীব্র এ গরমে সাধারণ মানুষ বের না হওয়ায় আয় কমেছে খেটে খাওয়া মানুষদের। স্বল্প আয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষগুলো।
প্রচণ্ড গরমে ঠাকুরগাঁওয়ে পাকা রাস্তার পিচ গলে যাচ্ছে। চাকায় পিচ আটকে যাওয়ার কারণে যানবাহন চলছে ধীর গতিতে। অস্থির হয়ে পড়েছে জনজীবন। খেত খামারে কাজ করা মানুষগুলো একটু ছায়ার জন্য হাঁসফাঁস করছেন। পশুরাও গরমে অস্থির হয়ে পড়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। অতি গরমে দিশেহারা নিম্ন মধ্যবিত্ত ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো।
কথা হয় সালান্দার ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া পাড়া গ্রামের কৃষক খিজিমত আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রচণ্ড রোদে ভুট্টা খেতে ঠিকভাবে কাজ করা যাচ্ছে না। তাই কিছুক্ষণ পরপর গাছের ছায়ায় এসে বিশ্রাম নেই ও পানি পান করি।
রিকশাচালক মো. সেলিম হোসেন বলেন, রোদের তেজ অনেক বেশি। একটু রোদে গাড়ি চালালেই শরীর জ্বলতে শুরু করে। প্রচুর পানির তৃষ্ণা পাচ্ছে। অপরদিকে রোদের তাপে লোকজন বাসা থেকে বের হচ্ছে না। ফলে রিকশা ভাড়াও তেমন পাচ্ছি না। আবার জিনিসের দাম বেশি। সব মিলিয়ে অবস্থা খুবই খারাপ আমাদের।
পথচারী সামিয়া নূরী বলেন, প্রচণ্ড গরম হওয়ায় বাইরে বের হওয়ায় অনেক কষ্ট হয়। জরুরি প্রয়োজনের কারণেই বাইরে বের হওয়া। এ সময়ে বৃষ্টি হলে অনেক ভালো হতো।
একই গ্রামের দানেশ আলী নামে এক কৃষক বলেন, বয়স বেশি হওয়ায় আগের মতো আর কাজ করতে পারছি না। তারপরে আবার কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড রোদ ও গরম শুরু হয়েছে। ভুট্টা খেতে কাজ করতে করতে প্রচণ্ড রোদে ক্লান্ত হয়ে গাছের ছায়ায় এসে বসেছি।
হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড ও মেডিসিন ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেছে, রোগীরা ওয়ার্ডে জায়গা পাচ্ছেন না। তাদের জন্য রুমের বাইরে বেড দিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে দায়িত্বরতরা জানিয়েছেন, গত সাত দিনে হাসাপাতালে যারা ভর্তি হয়েছেন, তাদের ৭০ শতাংশই মৌসুমি রোগ সর্দি, জ্বর ও কাশিতে আক্রান্ত। সবার সাধ্যমতো ট্রিটমেন্ট চলছে।