মহাস্থান নিউজ: রাশেদ
রমজানের ১৩ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো জমে ওঠেনি বগুড়ায় ঈদের বাজার। অনেকটা ধীরগতিতে চলছে তৈরি পোশাকের বেচাকেনা। ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে বগুড়ার বিভিন্ন মার্কেট ও শপিংমলে ক্রেতাদের চিরচেনা ভিড় নেই। বছরের অন্যান্য সময়ের মতোই ক্রেতা উপস্থিতি ও কেনাবেচা অনেকটা ঢিলেঢালা। তবে ব্যবসায়ীদের আশা, ১৫ রমজানের পর থেকে জমজমাট হয়ে উঠবে ঈদের বাজার। কেনাবেচায়ও গতি ফিরবে। গতকাল বুধবার (৫ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বগুড়া শহরের নিউ মার্কেট, শেখ শরীফ উদ্দিন সুপার মার্কেট, আল-আমিন কমপ্লেক্স, রানা প্লাজাসহ হকার্স মার্কেট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, এসব মার্কেটের কসমেটিকস, জুয়েলারি, ইমিটেশন গোল্ড, জুতা-স্যান্ডেলসহ অন্যান্য পণ্যের বিক্রি ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে টেইলারিং দোকানগুলোতে কিছুটা ভিড় থাকলেও তা ছিলো স্বাভাবিক দিনের মতোই। কথা হয় বগুড়ার নিউ মার্কেটের জলি গার্মেন্টসের স্বত্বাধিকারী রাসেল মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, এবার ঈদের বেচাকেনা অন্যান্য বছরের তুলনায় অর্ধেকও বলা যাবে না। এখন পর্যন্ত ক্রেতাদের ভিড় নেই। বছরের স্বাভাবিক সময়ের মতোই চলছে সবকিছু। অথচ গত বছরও ঈদুল ফিতরের শুরু থেকে ভালো বেচাকেনা ছিল। একই কথা বলেন শহরের শেখ শরীফ উদ্দিন সুপার মার্কেটের তৈরি পোশাক বিক্রেতা আহ্সান হাবিব। তিনি বলেন, ঈদের বেচাকেনা বলতে গত দুই দিন আগে কিছুটা ভিড় ছিল। এছাড়া রমজানের ১৩ দিন পেরিয়ে গেলেও ক্রেতাদের তেমন ভিড় নেই। ঈদকেন্দ্রিক বেচাকেনাও ভালো যাচ্ছে না। শেষ পর্যন্ত কেমন বেচাবিক্রি হয় তা বলা যাচ্ছে না। আমরা আরও কিছু দিন অপেক্ষা করবো। আশা করি, ১৫ রমজানের পর বেচাবিক্রি পুরোদমে শুরু হবে। জানতে চাইলে শহরের আল-আমিন কমপ্লেক্সের আলোর ছোঁয়া কালেকশনের স্বত্বাধিকারী আরিফুল ইসলাম বলেন, ক্রেতা নেই তাই বেচাকেনাও নেই। গতবছরের থেকে এবার বেচাকেনা আশা করছি বাড়বে। তবে ১৩ রোজা চলছে তাই ক্রেতাদের আনাগোনা এখনও বাড়েনি। আসা করছি ২০ রোজার পরে বিক্রয় বাড়বে। সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী কেউই এখনো বেতন-বোনাস পায়নি। বেতন-বোনাস পেলে জমে উঠবে বেচাকেনা। শহরের পুকুরপাড় নিউ মার্কেটের ওবায়দুর রহমান নামের আরেক ব্যবসায়ী জানান, ঈদ ও পহেলা বৈশাখ সামনে রেখে পুরো প্রস্তুতি নিয়ে দোকান সাজানো হয়েছে। ১৫/২০ রোজার পর থেকে ক্রেতাদের ভিড় ও বিক্রি বাড়বে।।