মহাস্থান নিউজ: বগুড়ার শিবগঞ্জে রাতের আঁধারে সরকারি খাস জলাশয়ের মাটি বিক্রি ও সাধারণ মানুষের ফসলি জমি থেকে মাটি তুলে ব্যক্তিগত পুকুরের পাড় ভরাটের অভিযোগে উঠেছে এক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের বিরুদ্ধে। শিবগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষ্টপুর জুড়ি অনন্তপুর এই মাটি কাটার কাজ চলছে। এতে করে রাস্তা-ঘাট ও ফসলের জমি হুমকি মুখে পড়েছে।
উপায় না পেয়ে সোমবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করে ঐ এলাকার ৪৭ জন গ্রামবাসী। মাটি কাটা ও বিক্রিতে অভিযুক্ত ওই ইউপি সদস্য হলেন শিবগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষ্টপুর জুড়ি অনন্তপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস। তিনি শিবগঞ্জ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড সদস্য।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আব্দুল কুদ্দুসকে জুড়ি মৌজার ৫৭৫ দাগে খাস জলাশয় ও এলাকার সাধারণ কৃষকের ফসলী জমিতে পুকুর খননের নামে রাতের আঁধারে ভেকু দ্বারা মাটি কাটছেন। এসব মাটি দিয়ে নিজের পুকরের পাড় ভরাট করছে। এছাড়াও ওই সরকারি জলাশয়ের জমি দখলের চেষ্টাও করছেন তিনি। এ ছাড়া কুদ্দুস ফসলী জমির টপ সোয়েল বিভিন্ন জায়গায় অবৈধভাবে বিক্রি করছে। ফলে ওই এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কৃষি জমি হুমকির মুখে পড়ছে।
স্থানীয় কৃষক মাহবুব হাসান বলেন, আব্দুল কুদ্দুস প্রভাব খাটিয়ে এলাকার কৃষি জমির মাটি কেটে বিভিন্ন ইট ভাটায় বিক্রি করে আসছে। এছাড়াও বালু উত্তোলনসহ সরকারি জলাশয়ের মাটি কেটে তার ব্যক্তিগত পুকুরের পাড় ভরাট করে সরকারি জায়গা দখলের চেষ্টা করছে। কেউ কিছু বলতে গেলে কুদ্দুস মামলা হামলাসহ বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখায়।
অভিযোগ অস্বীকার করে ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল কুদ্দুস বলেন, আমার কেনা জমি থেকে মাটি তুলে পুকুরের পাড় ভরাট করছি। আমার বিরুদ্ধে অহেতুক এমন অভিযোগ করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে কুলসুম সম্পা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।