মহাস্থান নিউজ: বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকায় কাজ করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অমর একুশে হলের শিক্ষার্থীরা। আগুনে পুড়ে যাওয়া ঠেকাতে দোকানিদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ লাগিয়ে দোকানের মালামাল সরাতে তারা কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ফজলুল হক মুসলিম হল এবং ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ হলের শিক্ষার্থীরাও।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবাজারে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। অমর একুশে হলের অবস্থান আক্রান্ত স্থানের অদূরে হওয়ায় আগুন লাগার পর থেকে ফায়ার সার্ভিস বাহিনীর পানির পাইপ নির্বিঘ্ন করতেও কাজ করেছে ছাত্ররা।
এদিকে দোকানিদের মালামাল নিরাপদে রাখতে হলের গেট উন্মুক্ত করে রাখা হয়েছে। এর ফলে দোকানিরা তাদের মালামাল হলে নিরাপদ স্থানে রাখার সুযোগ পাচ্ছেন।
কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, আমরা পাইপ সচল এবং ঠিক রাখতে সহযোগিতা করছিলাম। লোকজন বেশি হওয়ায় ঠিকভাবে পারছিলাম না। এখন ফায়ার সার্ভিসের লোকজন সবাইকে সরিয়ে দিচ্ছে। তাই ব্যবসায়ীদের মালামাল সরাতে সাহায্য করছি আমরা। আপাতত তারা আমাদের হলে এনে নিরাপদে রাখতে পারছেন।
অমর একুশে হলের প্রাধ্যক্ষ ড. ইসতিয়াক এম সৈয়দ বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে শিক্ষার্থীরা সহযোগিতা করছেন। আমরা হলের গেট খুলে দিয়েছি। ব্যবসায়ীরা যাতে নিরাপদে মালামাল রাখতে পারে। পাশাপাশি আমাদের রক্তদানকারী বাঁধন সংস্থাও প্রস্তুত আছে যদি রক্তের প্রয়োজন হয়।
হল ছাত্রলীগের সভাপতি এনায়েত এইচ মনন বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা মালামাল বহন করতে এবং আগুন নিয়ন্ত্রণেও কাজ করছে। এটা একটা জাতীয় ক্রাইসিস। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পাশে থাকবে। এটাই তো হওয়া উচিত।
এ দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের পুকুর থেকে পানি নিচ্ছে ফায়ার সার্ভিস। আগুন লাগার পর কাছাকাছি এ জায়গার পানির উৎস ব্যবহার করছে ফায়ার সার্ভিস।
ফজলুল হক হলের হাউস টিউটর মুহাম্মদ আবদুর কাদির বলেন, অনেক সকাল থেকেই পাইপ লাগিয়ে পুকুর থেকে পানি নিচ্ছে ফায়ার সার্ভিস। আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এলে তাদের গেট খুলে দেওয়া হয়। বেশ কয়েকটি পাইপ দিয়ে পানি নেওয়া হচ্ছে।