মহাস্থান নিউজ: র্যাবের হেফাজতে নির্যাতন নয়, মস্তিষ্কে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই নওগাঁর ভূমি অফিসের কর্মী জেসমিন সুলতানার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক দলের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. কফিল উদ্দিন। এর আগে গত ২৫ মার্চ রামেকের মর্গে ৩ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড নিহতের ময়নাতদন্ত করেন। এই বোর্ডের প্রধান ছিলেন রামেকের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. কফিল উদ্দিন। ডা. কফিল উদ্দিন জানান, জেসমিনের মাথায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরে বড় কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। মাথার কোণে এবং হাতে সামান্য ক্ষত পাওয়া গেছে, যা তার মৃত্যুর কারণ নয়। এদিকে রোববার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় অতি গোপনে জেসমিনের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) কাছে হস্তান্তর করেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক দলের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. কফিল উদ্দিন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আরএমপির রাজপাড়া থানার এসআই সুভাষ চন্দ্র বর্মন বলেন, জেসমিনের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এখনো হাতে পাইনি।
আরএমপির মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. রফিকুল আলম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। এর বেশিকিছু জানি না। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন নিয়ে কেউ কথা বলেননি।