মহাস্থান নিউজ: বগুড়ার আদমদীঘিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেমের ছেলে আমিরুল সরদারকে কুপিয়ে হত্যা মামলার মূল আসামিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ঘন্টাব্যপী উপজেলার নসরতপুর বাজারের তিনমাথা ভ্যানস্ট্যান্ড এলাকায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন চলাকালে আমিরুল হত্যা মামলার আসামীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, নিহতের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, নিহতের স্ত্রী রোকসানা, বোন আফরোজা, মেয়ে রিয়া মনি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার, আব্দুর রহমান, আফাজ, মোবারক, মোহাম্মাদ আলী প্রমূখ।
মানববন্ধনে নিহত আমিরুলের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম বলেন, ২২ মার্চ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মামলার প্রধান আসামী শাহিন মোবাইল ফোনে লক্ষ্মীপুর গ্রামের ক্লাব ঘরে আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর রাত সাড়ে ১০টায় জানাতে পারি শাহিনের নেতৃত্বে তহিদুল, মহসীন, আরিফ, সালাম, মামুন, জুয়েল, বকুল ও সাগরসহ বেশ কয়েকজন মিলে আমার ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দৌঁড়ে গিয়ে তার মরদেহ দেখতে পাই। শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি খুনিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা তাজুল ইসলাম জানান, গ্রামের তুচ্ছ ঘটনায়ও তহিদুল-শাহিন গ্রুপ বিচার-সালিস বসিয়ে মোটা অঙ্কের জরিমানা আদায়সহ বিভিন্ন চাঁদাবাজির টাকা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নেন। এ নিয়ে অতিষ্ঠ হয়ে ৩০-৪০টি পরিবার গ্রাম ছেড়ে বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন। এই সন্ত্রাসী ও হত্যা মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে জোড় দাবী জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, হত্যাকাণ্ডের পরের দিন দুপুরে আমিরুলের বড় বোন আফরোজা বেগম বাদী হয়ে শাহিন, তহিদুলসহ ৩৭ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার পর আসামি নুর ইসলাম কবিরাজ, আবু বক্কর ও ওয়াহেদ নামের তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কিন্তু ঘটনার এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও হত্যা মামলার মূল আসামিরা গ্রেপ্তার হয়নি। বর্তমানে হত্যার মূল আসামিসহ অন্যরা গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে রয়েছেন।
আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম রেজা জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যহত রয়েছে।