মহাস্থান নিউজ: রাশেদ
পবিত্র মাহে রমজানে অসহায়, দুস্থ-কর্মহীন ভাসমান মানুষের জন্য বগুড়ায় এক টাকার বিনিময়ে ইফতার দিচ্ছে ‘লাইফ লাইন’। এ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কয়েকজন তরুণ। বর্তমানে রমজান মাসে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ উদ্যোগ নিয়েছেন তারা। কিছুক্ষণ পরপর রিকশাচালক ও পথচারীরা তাদের কাছ থেকে ইফতার কিনে নিচ্ছেন। প্রতিটি ইফতারের প্যাকেটের জন্য ক্রেতাকে পরিশোধ করতে হচ্ছে এক টাকা। বুধবার (২৯ মার্চ) বিকেলে শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় ইফতারের প্যাকেট বিতরণ করতে দেখা যায় তাদের। ইফতার গ্রহীতারা জানান, একজনের খাবারের উপযোগী এক টাকার ইফতারির বক্সে থাকে বিরিয়ানি। প্রতিদিন ইফতারের আগে এক টাকার এ ইফতারির বক্স স্বল্প আয়ের পরিবারের শিশু-কিশোর ও রোজাদারদের মধ্যে এক অনাবিল আনন্দ বয়ে আনে। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বিকেল হলেই বগুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় জড়ো হন ইফতার কিনতে আগ্রহী অসহায় মানুষগুলো। তাদের দীর্ঘ লাইনে দাঁড় করিয়ে নিয়ন্ত্রণ করেন কয়েকজন তরুণ। ইফতার কিনতে আসা রিকশাচালক আবুল কালাম বলেন, রমজানে খেটে খাওয়া অসহায় মানুষদের জন্য এক টাকায় ইফতার বিতরণ করছে। এটা অনেক ভালো একটা আয়োজন। আমাদের অনেক উপকার হয়। শহরের চেলোপাড়া থেকে ইফতার কিনতে আসা শেফালী বেগম বলেন, আমি প্রতিদিনই এখান থেকেই ইফতার নেই। বেশ ভালো লাগে এদের ইফতার। এ বিষয়ে লাইফ লাইন কর্মী আহ্সান হাবিব সেলিম বলেন, অসহায়, দুস্থ, ভাসমান, কর্মহীন ও খেটে খাওয়া মানুষের কথা চিন্তা করে ইফতার বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছি আমরা। শত কষ্টের মধ্যে সিয়াম সাধনা করছেন মানুষ। তাদের প্রায় দিনই ঠিকমতো ইফতারি জুটছে না। তাদের কথা চিন্তা করেই এ উদ্যোগ। গত সোমবার থেকে বগুড়া শহরে নিম্নআয়ের মানুষের জন্য এ কার্যক্রম শুরু করেছি। চলবে পুরো রমজান মাস। উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফেসবুকে ‘লাইফ লাইন’ নামে সংগঠনের ব্যানারে এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে বগুড়া শহরে প্রতিদিন অন্তত ১০০ জনের হাতে ইফতার তুলে দেয়া হচ্ছে। সামর্থ্য অনুযায়ী ধাপে ধাপে এই সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। প্রতিটি ইফতারের প্যাকেটে রয়েছে বিরিয়ানি। তারা আরও জানান আমরা রমজান মাসে অসহায় রোজাদার মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টাও করছি। এটা তেমনি একটি উদ্যোগ। কিন্তু এটাকে যেন কেউ ত্রাণ বা দয়া মনে না করে তাই এর ন্যূনতম একটি দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ এই ইফতার তিনি কিনেই নিচ্ছেন।