মহাস্থান নিউজ: বগুড়ার শহিদ চান্দু স্টেডিয়ামের ভেন্যু বাতিলের প্রতিবাদে আবারও অনশনে নামা যুবকের অনশন ভাঙিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। রোববার বিকেল পৌনে ৫ টার দিকে সার্কিট হাউজে প্রতিমন্ত্রী নিজ হাতে পানি খাইয়ে ওই যুবকের অনশন ভাঙান।
এরআগে সকাল ১১ টার দিকে শহরের সাতমাথায় হাতে-গলায় শিকল বেঁধে কাফনের কাপড় পরে দ্বিতীয় দফায় অনশনে নামে হুমায়ুন আহম্মেদ রুমেল।
সার্কিট হাউজে সাংস্কৃতিক ব্যক্তি ও গণমাধমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে বিকেলে বের হওয়ার সময় প্রতিমন্ত্রীর গাড়ির সামনে রুমেল দাঁড়িয়ে যান৷ এসময় তিনি সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের কাছে বগুড়া শহিদ চান্দু স্টেডিয়ামের ভেন্যু বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারসহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান।
প্রতিমন্ত্রী জবাবে রুমলকে আশ্বাস্ত করে তার দাবিগুলো যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়নে পৌঁছে দেওয়া কথা জানান। এসময় সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ নিজ হাতে পানি খাইয়ে রুমেলে অনশন ভাঙিয়ে দেন।
হুমায়ন আহম্মেদ রুবেল বগুড়া শহরের নাটাইপাড়া এলাকার মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম একজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর।
হুমায়ন আহম্মেদ রুমেল জানান, জেলা ক্রীড়া সংস্থার আশ্বাসের পরও ইতিবাচক কোন সিদ্ধান্ত না আশায় আবারও অনশন শুরু করেছিলাম। মন্ত্রী মহদোয় বগুড়া এসেছেন জেনে তার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। তিনি স্নেহভরে আমার সাথে কথা বলেছেন, আমার সব কথা শুনেছেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে স্টেড়িয়াম ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে কথা বলবেন। এছাড়াও মন্ত্রী মহোদয় নিজ হাতে আমাকে পানি খাইয়ে দিয়েছেন। এজন্য আপাতত আমি অনশন স্থগিত করছি।
এরআগে রুবেল ৫ মার্চ থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত প্রায় ৮০ ঘণ্টা কাফনের কাপড় পরে অমরণ অনশন করেছিলেন। বগুড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার আশ্বাসে তিনি ১৮ মার্চ পর্যন্ত অনশন স্থগিত করেন৷