মহাস্থান নিউজ: তিনটি রাজনৈতিক দল আগামী বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে লোকসভা নির্বাচনের আগে ভারতের প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে বিবেচিত কংগ্রেস ছাড়া কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুক্রবার (১৭ মার্চ) কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে উত্তর প্রদেশ ভিত্তিক সমাজবাদী পার্টি (এসপি) প্রধান অখিলেশ যাদবের বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খবর ট্রিবিউন ইন্ডিয়ার। প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর প্রদেশের রাজনীতির অন্যতম নেতা প্রয়াত মুলায়ম সিং যাদবের ছেলে অখিলেশের সঙ্গে দেখা করা মমতা আগামী সপ্তাহে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী ও বিজু জনতা দলের প্রধান নবীন পট্টনায়কের সঙ্গেও দেখা করবেন। কংগ্রেস বিধায়ক রাহুল গান্ধীকে বিরোধীদের প্রধান মুখ হিসেবে তুলে ধরার বিজেপির প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করার চেষ্টা করছে মমতা ও তার সহযোগীরা। সম্প্রতি লন্ডনে এক বক্তৃতায় রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেন, ভারতীয় সংসদে বক্তৃতা দেওয়ার সময় বিরোধী দলগুলোর নেতাদের মাইক্রোফোন বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেই বক্তব্যের জন্য রাহুল গান্ধীকে ক্ষমা চাইতে বলছে বিজেপি। এমন বাস্তবতায় কংগ্রেসের বাইরের অনেক বিরোধী দল মনে করছে, ক্ষমতাসীন দল রাহুল গান্ধীর ইস্যু ব্যবহার করে তাদের টার্গেট করা হচ্ছে। এ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের এমপি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রাহুল গান্ধী বিদেশে তার মন্তব্যের জন্য ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত বিজেপি সংসদীয় কার্যক্রমের অনুমতি দেবে না। এর মানে তারা কংগ্রেসকে ব্যবহার করে সংসদকে অকার্যকর করতে চায়।
বিজেপি চায় রাহুল গান্ধীকে বিরোধীদের মুখ হতে, যাতে তারা এটিকে কাজে লাগাতে পারে। কাউকে প্রধানমন্ত্রী (২০২৪ সালের নির্বাচনের জন্য) ঠিক করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার দরকার নেই। কংগ্রেসকে বিরোধীদের ‘বিগ বস’ ভাবলে ভুল হবে বলে জানান তিনি। নবীন আরও বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২৩ মার্চ নবীন পট্টনায়কের সঙ্গে দেখা করবেন। আমরা এই বিষয়ে অন্যান্য বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে কথা বলব (বিজেপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে সমদূরত্ব বজায় রেখে)। আমরা এটাকে তৃতীয় শক্তি বলছি না, তবে আঞ্চলিক দলগুলো বিজেপিকে কটাক্ষ করার ক্ষমতা রাখে।’
সুদীপের স্বরে কথা বলেছেন অখিলেশ যাদবও। তার মতে, কংগ্রেস ও বিজেপির সঙ্গে একই দূরত্ব বজায় রাখতে চান তারা।