মহাস্থান নিউজ: ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর লাদাখ সীমান্তের পশ্চিম হিমালয় অঞ্চলে ভারত ও চীনের মধ্যে পরিস্থিতিকে নাজুক ও বিপজ্জনক বলে বর্ণনা করেছেন। শনিবার (১৮ মার্চ) সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি জানান, সীমান্তের কিছু অংশে দুই দেশের সেনাবাহিনী মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালের মাঝামাঝি লাদাখ সীমান্তে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৪ ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছিল। চীনের কিছু সেনাও এতে হতাহত হয়। ওই ঘটনার পর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে উভয় পক্ষের কূটনৈতিক ও শীর্ষ পর্যায়ের সামরিক প্রতিনিধিরা আলোচনা করছেন। এমনকি গত বছরের ডিসেম্বরে এশিয়ার দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা থাকলেও বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এ প্রসঙ্গে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেকে জয়শঙ্কর বলেন, ‘আমি এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন কারণ সীমান্ত বরাবর এমন কিছু জায়গা আছে যেখানে দুই দেশের সামরিক বাহিনী মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। যা খুবই বিপজ্জনক।’ ভারত ও চীনের সম্পর্ক স্বাভাবিক অবস্থায় নেওয়া সম্ভব কিনা, এমন প্রশ্নে জয়শঙ্কর জানান, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে হওয়া নীতিগত চুক্তি অনুসারে চীন সীমান্ত বিরোধের সমাধান না করা পর্যন্ত স্বাভাবিককরণ ঘটবে না। তবে এখন উভয় পক্ষের বাহিনী অনেক বিতর্কিত এলাকা থেকে দূরে অবস্থান করছে।
এছাড়া, অমীমাংসিত পয়েন্ট নিয়ে বেইজিং-দিল্লি আলোচনা চলছে বলেও জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা চীনকে পরিষ্কার করে দিয়েছি। আপনি শান্তি উপেক্ষা করে চালিয়ে যেতে পারবেন না। আপনি চুক্তি লঙ্ঘন করতে পারেন না। সীমান্তের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে চীনের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে।’