মহাস্থান নিউজ:
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান গ্রেপ্তার হতে পারেন এমন সম্ভাবনার মধ্যে লাহোর শহরে তার বাড়ির সামনে সমবেত হয়েছেন তার সমর্থকরা। লাহোরের জামান পার্ক এলাকায় তার বাসভবনের বাইরে পুলিশের একটি দল অপেক্ষা করছে তাকে গ্রেপ্তার করার জন্য। খবর বিবিসি। গত সপ্তাহে আদালত একটি মামলায় ইমরান খানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। ওই মামলাটিতে অভিযোগে বলা হয়, খান প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় বিদেশের নেতাদের কাছ থেকে যেসব উপহার পেয়েছিলেন সেগুলোর কথা তিনি সঠিকভাবে জানাননি। ইমরান খান মামলাটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে বর্ণনা করেছেন। ইসলামবাদ পুলিশের এক টুইট বার্তা উদ্ধৃত করে পাকিস্তানের ডন পত্রিকা জানাচ্ছে, ‘খানকে গ্রেপ্তার করার জন্য লাহোর পুলিশের সহায়তার একটি অপারেশন চলছে।’ পুলিশ বলছে, খান গ্রেপ্তার এড়ানোর চেষ্টা করছেন।
প্রথম দিকে পুলিশ ‘খান তার বাড়িতে নেই’ এমন কথা বললেও ডন পত্রিকার খবরে বলা হয়, ইমরান খান তার বাসভবনে দলের কর্মীদের সামনে বক্তব্য রাখছেন। সেসময় তিনি তার ডাকে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেবার জন্য সমর্থকদের ধন্যবাদ দেন। ইমরান খানের রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-ইনসাফ হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে তাদের নেতাকে গ্রেপ্তার করা হলে পাকিস্তানের রাজনৈতিক সংকট পরিস্থিতির গুরুতর অবনতি হবে।
গত বছর পার্লামেন্টের এক ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ইমরান খানের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়। এগুলোর মধ্যে তার রাজনৈতিক দলের জন্য অবৈধ অর্থ সংগ্রহ এবং রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতার উস্কানি দেবার অভিযোগও রয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, গত ২০শে ফেব্রুয়ারি ইমরান খান গ্রেপ্তার এড়াতে একটি মামলায় দু’সপ্তাহের জন্য জামিন পেয়েছিলেন।
গত বছর একটি বিক্ষোভ সমাবেশে গুলিবর্ষণের ঘটনায় ইমরান খান আহত হন। তার আইনজীবীরা এর আগে স্বাস্থ্যগত ও নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে খানের সশরীরে আদালতে হাজির হওয়া ঠেকানোর চেষ্টা করেছিলেন, তবে আদালতে এসব আবেদন খারিজ হয়ে যায়। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন গত বছর ইমরান খানকে সরকারি পদে থাকার অযোগ্য ঘোষণা করে।
তার বিরুদ্ধে বিদেশি নেতাদের কাছ থেকে পাওয়া উপহারসামগ্রী এবং সেগুলো বিক্রি করে পাওয়া অর্থের কথা সঠিকভাবে না জানানোর অভিযোগ আনা হয়।
এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে খান আদালতে মামলা করেছেন। ইমরান খানের সমর্থকরা এর আগেও তাকে গ্রেপ্তার করা হলে দেশব্যাপী বিক্ষোভ শুরু করার কথা বলেছেন।