মহাস্থান নিউজ:
ছত্তিশগড়ে শুরু কংগ্রেসের বিশেষ কনক্লেভ। ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের কৌশল ঠিক করতে এই বৈঠক। ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন কীভাবে লড়বে কংগ্রেস? সামগ্রিক বিরোধী জোটের জন্য কি ঝাঁপাবে দল? না কি, তারা শুধু ইউপিএ এর শরিক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে লড়বে?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল, তেলেঙ্গানায় কেসিআরের তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি, অন্ধ্রে চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলেগু দেশমের মতো দলগুলোর প্রতি কংগ্রেসের মনোভাব কী হবে? এই সব বিষয় নিয়ে ছত্তিশগড়ের রায়পুরের কনক্লেভে সিদ্ধান্ত নেবেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।
সেই সঙ্গে আরও যে বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে, তা হলো, কীভাবে নরেন্দ্র মোদির মোকাবিলা করা হবে? বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটে কী কৌশল নেয়া হবে? কংগ্রেসের নেতারা বলছেন, এটা হলো ‘ব্রেন স্টর্মিং সেশন’। সব বিষয়ে খোলাখুলি আলোচনা হবে।
রাহুল গান্ধী সবে তার ভারত জোড়ো যাত্রা শেষ করেছেন। সেখানে তিনি ভালো সাড়া পেয়েছেন। ফলে কংগ্রেস নেতা ও কর্মীরা উজ্জীবিত। এবার পুরোদমে লোকসভা ভোটের প্রস্তুতিতে নেমে পড়বেন তারা। সোনিয়া, রাহুল ও প্রিযঙ্কা গান্ধী এই কনক্সেভে যোগ দেবেন।
তবে তারা প্রথমদিক স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে থাকবেন না। কারণ, এই বৈঠকে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যরা কীভাবে নির্বাচিত হবেন, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। সেই সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করতে চান না বলে গান্ধীরা ওই বৈঠকে থাকবেন না।
কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন, মোট ছয়টি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। রাজনৈতিক, আর্থিক, আন্তর্জাতিক বিষয়, কৃষি ও কৃষক কল্যাণ, যুব, রোজগার ও শিক্ষা ও সামাজিক ন্যায়। কনক্লেভ শেষ হওয়ার পর জনসভাও হবে।
দলের মধ্যে একটা প্রস্তাব এসেছে, যুবদের আরও বেশি করে দলের কাজে জায়গা দিতে হবে। তার জন্য দরকার হলে গঠনতন্ত্র সংশোধন করা হোক। জয়রাম রমেশ বলেছেন, ‘যুবদের বিষয়টি নিয়েও পুরাদস্তুর আলোচনা হবে। মহাজোট নিয়ে আলোচনা অবশ্যই হবে। আপনারা অপেক্ষা করে দেখুন, কী হয়? সাত-আটটি রাজ্যে আমরা ভোটের আগে থেকে জোট করে ভোটে লড়েছি।’
জয়রামের দাবি, ‘তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে, বিরোধী ঐক্যের বিষয়ে একটা কথা মনে রাখতে হবে, কংগ্রেসকে ছাড়া বিরোধী ঐক্য মজবুত হবে না। যদি বিরোধীদের ঐক্য হয়, তাহলে ইতিবাচক কর্মসূচির ভিত্তিতে সেই জোট হবে।’
তিনি জানিয়েছেন, ২০২৩ এ অনেক রাজ্যে বিধানসভা ভোট আছে। ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানায় কংগ্রেস অন্যতম প্রধান দল। সেই ভোটের জন্য কংগ্রেস আগে প্রস্তুতি নেবে।
কংগ্রেস নেতারা যখন দিল্লি থেকে ছত্তিশগড় যাচ্ছিলেন, তখন পুলিশ গিয়ে কংগ্রেস মিডিয়া সেলের প্রধান পবন খেরাকে বিমান থেকে নামায়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সম্প্রতি তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরুদ্ধে অপমানজনক মন্তব্য করেছেন। তার জন্য তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে সুপ্রিম কোর্টে মামলা যায়।
সেখানে সুপ্রিম কোর্ট পবন খেরাকে জামিন দেয়। তবে তার আগে পবন খেরা তার মন্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন। জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন, কংগ্রেসের কনক্লেভের আগে সিবিআই ছত্তিশগড়ে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে, সরকারি দপ্তরের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। তারা এখনো ছত্তিশগড়ে আছে। বিজেপি যে কংগ্রেসকে ভয় পাচ্ছে, রাহুল গান্ধীর যাত্রার সাফল্য দেখে ঘাবড়ে গেছে, এটা তারই প্রমাণ।