গত শুক্রবার সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকে এক অনুষ্ঠানে প্রেম সিং তামাং বলেন, ‘স্থানীয় মানুষের মধ্যে সন্তান নেওয়ার প্রবণতা খুবই কম। এটা সিকিমের জন্য বড় একটি সমস্যা। এই প্রবণতা দূরীকরণে আমাদের অবশ্যই কিছু করতে হবে।’
প্রেম সিং তামাং আরও প্রস্তাব করেছেন, নারী সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সন্তান লালনপালনের জন্য বাড়িতে সহায়তাকারী রাখলে সেই অর্থও রাজ্য সরকার দেবে। ৪০ বছরের বেশি বয়সী নারীদের এক বছরের জন্য এ কাজে নিযুক্ত করা হবে। তাঁরা প্রতি মাসে ১০ হাজার রুপি করে বেতন পাবেন।
সিকিমের জনসংখ্যা মাত্র ৭ লাখ। কয়েক বছর ধরে রাজ্যটি জন্মহার (টিএফআর) নিয়ে সমস্যায় ভুগছে। রাজ্য সরকারের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে সিকিমে টিআরএফ সবচেয়ে কম (১ দশমিক ১) ছিল।
এর অর্থ হলো, এই রাজ্যের নারীরা একটির বেশি সন্তান নিতে মোটেও আগ্রহী নন। বিশেষত সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সিকিমের আদিবাসী ভুটিয়া ও লিমবু সম্প্রদায়ে একাধিক সন্তান নেওয়া প্রবণতা আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে।
এ জন্য গত নভেম্বরে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আদিবাসী সম্প্রদায়ের নারীদের জন্য বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ ও প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়েছে। রাজ্যের জনসংখ্যা বাড়াতে অধিক সন্তান নিলে তাঁরা এই অর্থ পাবেন। এরপর এখন একাধিক সন্তান নিলে নারী সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য বেতন বাড়ানোসহ বিশেষ সুবিধার কথা জানানো হলো।