● খাদ্যতালিকায় অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও ওমেগা-থ্রিযুক্ত খাবার রাখতে হবে। যেমন আখরোট; তিসি বীজ; চিয়া বীজ; জলপাই তেল; চর্বিযুক্ত মাছ যেমন ইলিশ, পাঙাশ, টুনা ইত্যাদি।
● এন্ডোমেট্রিওসিসে আক্রান্ত রোগীর ভারী রক্তপাত হয়, যাতে পরে রক্তস্বল্পতা হতে পারে। এ জন্য আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। আয়রন শরীরে শোষণ করার জন্য সঙ্গে ভিটামিন সি–সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আয়রনসমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে আছে ডালিম, বিটরুট, ডিম, ডাল, সবুজ শাকসবজি, চর্বিছাড়া মাংস, ছোলা ইত্যাদি।
● নিয়মিত হলুদ ও সবুজ রঙের শাকসবজি খাওয়া উচিত। এ ছাড়া ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকলি খাওয়া ভালো। প্রতিদিন একটি বা তার বেশি সাইট্রাস ফল খাওয়া উচিত।
● আঁশসমৃদ্ধ খাবার এন্ডোমেট্রিওসিসের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য ভালো। কারণ, এগুলো শরীরের অতিরিক্ত ইস্ট্রোজেন বের করে দিতে সাহায্য করে ও পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখে। প্রতিদিন ৩০ গ্রাম আঁশসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা উচিত। আঁশসমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে আছে গোটা শস্য, লাল চাল, ভুট্টা, ওটস, বিভিন্ন খোসাসমৃদ্ধ ফল ও শাকসবজি।
● পেশির কার্যকারিতা ও রক্ত সঞ্চালনে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এগুলো কোষ্ঠকাঠিন্য, মাসিকের সময় ক্রাম্পের সমস্যা ও জরায়ুর মসৃণ পেশি শিথিল করে। মাসিকের ব্যথা কমাতে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে। এ জন্য খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে সব ধরনের ডাল। তবে মুগ ডাল বেশ ভালো। আখরোট, কাঠবাদাম, ব্রাজিল বাদাম, পালংশাক, কলা, ডার্ক চকলেট, শস্যদানা ইত্যাদিও খাদ্যতালিকায় থাকতে পারে।
● ইস্ট্রোজেনের বিপাকে ভূমিকা রাখতে ও মাসিকের ব্যথা কমাতে ভিটামিন বি১, বি৬ ও ভিটামিন বি১২–এর কার্যকর ভূমিকা আছে। এ জন্য নিয়মিত ডিম, ছোলা, মটরশুঁটি, চর্বি ছাড়া পরিমিত মাংস, শিমের বিচি, সবুজ শাকসবজি খেতে হবে।
● দৈনিক ৩০ মিলিগ্রাম করে জিংকসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। জিংকসমৃদ্ধ খাবার প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন কমাতে ও জরায়ুতে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। এ জন্য খাদ্যতালিকায় জিংকসমৃদ্ধ খাবার ডিম, কুমড়ার বীজ, দই, আস্ত শস্যদানা ইত্যাদি রাখা দরকার।
●বিভিন্ন মসলা যেমন জিরা, ধনে, মেথি, আদা, হলুদ এন্ডোমেট্রিওসিসে কাজ করে।
পুষ্টিবিদ, রাইয়ান হেলথ কেয়ার হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার, দিনাজপুর