গাজীপুর মহানগর ট্রাফিক পুলিশের উপকমিশনার মো. আলমগীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘মোনাজাতকে ঘিরে আমাদের সিদ্ধান্ত প্রথম পর্বের মতোই। তবে এবার পণ্যবাহী গাড়ি ছাড়া যতক্ষণ সম্ভব অন্যান্য যান চলাচল সচল থাকবে। এতে মানুষের ভোগান্তি কম হবে। আগামীকাল সকাল ১০টা বা ১১টার দিকে মোনাজাত হবে। এ জন্য আজ বিকেল থেকেই মুসল্লিরা আসছেন। কাল মুসল্লির সংখ্যা আরও বাড়বে। সে ক্ষেত্রে জায়গা না পেয়ে মুসল্লিরা যদি সড়কে বসে যান, তবে তৎক্ষণাৎ সব যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে। মোনাজাত শেষে মানুষের ভিড় কমতেই আবার যান চলাচল সচল হবে।’
এদিকে দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমাকে ঘিরে বুধবার সকাল থেকেই মুসল্লিরা টঙ্গীর তুরাগ তীরে আসতে থাকেন। সবচেয়ে বেশি মুসল্লি আসেন বৃহস্পতিবার। বিকেলের মধ্যে ভরে যায় ইজতেমা মাঠ। এর মধ্যে শুক্রবার ইজতেমার জামাতের সঙ্গে জুমার নামাজে যোগ দিতে রাজধানী ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকা থেকে মুসল্লিরা আসেন দলে দলে। রোববার মোনাজাতকে কেন্দ্র করে মুসল্লির সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষে বিরোধের কারণে এবারও বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আলাদাভাবে। মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বিরোধী হিসেবে পরিচিত মাওলানা জুবায়ের অনুসারীরা ইজতেমা পালন করেন ১৩ থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। আর শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে মাওলানা সাদ কান্ধলভী অনুসারীদের ইজতেমা। রোববার মোনাজাতের মাধ্যমে দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শেষ হবে।