কিছু কিছু বাড়ি আছে ভীষণ অগোছালো। অন্দরে পা দিতেই মেজাজ বিগড়ে যায়। দরজার পাশে জুতার বাক্সে যেমন-তেমন করে রাখা জুতা-মোজা, রান্নাঘরে যেখানে-সেখানে থালাবাসন, বিছানায় গোটানো চাদর, ছড়ানো-ছিটানো কাঁথা-বালিশ, এক কোণে স্তূপ করে রাখা জামা-কাপড়, টেবিলে গাদাগাদি এলোমেলো করে রাখা বই-খাতা-কলম! বাড়ি নয়, যেন বিচ্ছিরি বিশৃঙ্খলা। আবার কিছু ঘরবাড়ি দারুণ পরিপাটি। ছবির মতো সাজানো। প্রতিটি পৃথক আসবাবে আন্তরিক যত্নের ছোঁয়া। চৌকাঠ পেরিয়ে ঘরে ঢুকতেই মন ভরে যায়।
এই দুটো ব্যাপারই মানুষের ব্যক্তিত্বে, বৈশিষ্ট্যে ও জীবনাচরণে সরাসরি প্রভাব ফেলে। যে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যই অগোছালো, সেই পরিবারের ঘরদোরও অমন হবে—এটাই স্বাভাবিক। আবার গোছালো মানুষের বাড়িও থাকে পরিচ্ছন্ন, গোছালো। তবে এ বক্তব্য কিন্তু স্বতঃসিদ্ধ নয়। উল্টো ব্যাপারও আছে। ব্যক্তিজীবনে আগাগোড়া ছন্নছাড়া মানুষটি ঘরে ফিরে হয়তো ভীষণই কেতাদুরস্ত। আবার বাইরে ফিটফাট থাকা লোকটি ঘর গোছানোয় হতে পারেন একেবারেই উদাসীন।
আজ ১৪ জানুয়ারি, ঘরবাড়ি গুছিয়ে রাখার দিন। অর্গানাইজ ইয়োর হোম ডে। আনুষ্ঠানিকভাবে কবে কোথায় দিবসটির চল হয়েছে, জানা যায় না। দিবসটির যাত্রা যখনই হোক, ঘর গোছানোর ধারণাটি কিন্তু একদমই প্রাচীন। বাড়ির অন্দর-বাইরের সাজসজ্জা নিয়ে আলোচনা, লেখালেখি, ম্যাগাজিন, বই-পুস্তকও আছে বিস্তর। এ রকম একটি জনপ্রিয় আমেরিকান ম্যাগাজিনের নাম গুড হাউসকিপিং, যেটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৮৮৫ সালে। ‘এভরিডে হাউসকিপিং: আ ম্যাগাজিন ফর প্র্যাকটিক্যাল হাউসকিপারস অ্যান্ড মাদারস’ নামে ১৮৯৪ সালে প্রকাশিত হয় গৃহসজ্জাবিষয়ক একটি বই। এর পর থেকে ঘরবাড়ি গোছানোর ধারণাটি বিশেষভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
ন্যাশনাল টুডে ডটকম অবলম্বনে