যমুনা নিউজ বিডিঃ মধু মাসের ফল লিচু। এ সময়টায় বাজার ভরে যায় রসাল আর মিষ্টি স্বাদের রাঙা লিচুতে। পাকা ও ফরমালিনমুক্ত লিচু খুঁজে পাওয়া কিন্তু বেশ কঠিন। কিছু কৌশল আছে, যার মাধ্যমে পাকা ও মিষ্টি লিচু চিনে কিনতে পারবেন। তাহলে জেনে নিন পাকা, রসাল, মিষ্টি লাল রঙের লিচু চেনার উপায়গুলো।
লিচু কেনার সময় অবশ্যই এর খোসার দিকে খেয়াল করবেন। ভালো মানের লিচুগুলো সবসময় উজ্জ্বল রঙয়ের হয়ে থাকে।
যদি কেনার সময় লিচু চাপ দিয়ে দেখা যায় বেশি নরম, তাহলে সে লিচু কিনবেন না। কারণ এগুলো বেশি পাকা এবং এসব লিচুর বেশিরভাগই নষ্ট হয়ে থাকে।
লিচু ভালো কিনা তা পরীক্ষা করতে একটি লিচুর খোসা ছড়িয়ে দেখতে পারেন। যদি খোসা সহজেই খুলে আসে, তাহলে সেটি পাকা ও মিষ্টি। আর যদি সহজে খোসা না ছাড়ানো যায় অথবা লিচুর ভেতরের অংশে বাদামি দাগ দেখা যায়, তাহলে সেটি নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা বেশি।
পাকা লিচু দিয়ে সবসময় মিষ্টি গন্ধ বের হয়। নাকের কাছে ধরলেই টের পাবেন লিচুগুলো ভালো নাকি কেমিক্যাল দেওয়া। যদি কেমিক্যাল দেওয়া থাকে, তাহলে মিষ্টি গন্ধ কখনও পাবেন না।
লিচু ভালো কিনা তা পরীক্ষা করতে একটি লিচুর খোসা ছড়িয়ে দেখতে পারেন। যদি খোসা সহজেই খুলে আসে, তাহলে সেটি পাকা ও মিষ্টি
ক্রেতা আকৃষ্ট করতে কিছু অসাধু বিক্রেতা লিচুর গায়ে লাল রং মেখে রাখেন। যদি দেখেন হাতে রং লাগছে বা লিচুর লাল রং ফ্যাকাশে হয়েছে তাহলে বুঝবেন সেই লিচু পাকা নয় এবং শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই লিচু কেনার পর ঘণ্টাখানেক পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন। রং মাখানো থাকলে পানি লালচে হয়ে যাবে।
সবসময় গাঢ় রঙয়ের লিচু কিনবেন এবং এর সাইজ যেন অন্তত এক ইঞ্চি হয়। এ ধরনের লিচুগুলো পরিপক্ক হয়ে থাকে।
লিচু নষ্ট বা পচা কিনা সেটা সহজেই বুঝতে পারবেন, যদি এর খোসা বাদামি বা দাগযুক্ত হয়ে থাকে। এ ছাড়া লিচুর গায়ে ফাটল ধরা বা পচা গন্ধযুক্ত হলে লিচু কিনবেন না।
লিচুর মুখ দেখে কেনা উচিত। সাধারণত পচা লিচুগুলোর মুখও পচা থাকে। যদি মুখটি ডালযুক্ত থাকে, তাহলে সেটি কিনতে পারেন। আর ভুলেও কখনো লিচুর বীজ খাবেন না। কারণ, এটি বিষাক্ত হয়ে থাকে। অন্যদিকে কেমিক্যালযুক্ত লিচু খেলে ক্যানসারও হতে পারে।