অস্বাভাবিক আমদানি বাড়ায় চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই থেকে মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) দুই লাখ চার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব পেয়েছে। এটি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেশি। ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে এনবিআর এক লাখ ৭৮ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা রাজস্ব পেয়েছিল। এনবিআর প্রকাশিত রাজস্ব সংগ্রহের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এনবিআরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মার্চ পর্যন্ত আমদানি শুল্ক থেকে মোট রাজস্ব এসেছে ৬৫ হাজার ৭৩ কোটি টাকা। এ খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২০ দশমিক ৫৩ শতাংশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গত মার্চ পর্যন্ত ছয় হাজার ১৫২ কোটি ডলারের আমদানি হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৪৪ শতাংশ বেশি। বৈশ্বিক বাজারে পণ্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে আমদানি ব্যয় বেড়েছে। ফলে এ খাত থেকে রাজস্ব সংগ্রহেও প্রবৃদ্ধি হয়েছে অন্যান্য খাতের তুলনায় বেশি।
এ ছাড়া স্থানীয় পর্যায়ের মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট থেকে রাজস্ব এসেছে সবচেয়ে বেশি, যা ৭৫ হাজার ২৭৬ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এটি প্রায় ১০ শতাংশ বেশি। আর আয়কর থেকে রাজস্ব এসেছে ৬৩ হাজার ৬৫৮ কোটি টাকা। এ খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪ শতাংশের সামান্য বেশি।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে এনবিআর’র মাধ্যমে কর রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তিন লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটেও একই লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে বলে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে। অর্থাৎ অর্থবছরের বাকি তিন মাসে এক লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহ করতে হবে।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক গত রোববার বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যের হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায় আমদানি অস্বাভাবিক বেড়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে ৬ হাজার ১৫২ কোটি ৪০ লাখ (৬১ দশমিক ৫২ বিলিয়ন) ডলারের বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ বেশি। ২০২০-২১ অর্থবছরের এই ৯ মাসে ৪২ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছিল।