মহাস্থান (বগুড়া) প্রতিনিধি : অতিরিক্ত টোলরোধে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থান হাটের খাজনা তালিকা বাজারের দৃশ্যমান স্থানে জনগণের জ্ঞাতার্থে প্রশাসন কর্তৃক টাঙানো হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় শিবগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (এসিল্যান্ড) ভূমি আজাহার আলী মহাস্থান হাটের সরেজমিনে এসে সরকারি অনুমোদিত খাজনা তালিকা বাজারের দৃশ্যমান ৫টি স্থানে জনগণের জ্ঞাতার্থে টাঙিয়ে দেন। সহকারী কমিশনার ভূমি আহাজার আলী বলেন, মহাস্থান হাটের মূল্য তালিকা টাঙানো হলো, নির্ধারিত রেটের বাহিরে কেউ অতিরিক্ত খাজনা আদায় করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ রিজু, রায়নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফি।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ রিজু বলেন, উত্তরবঙ্গের বৃহত প্রসিদ্ধ সবজির বাজার হিসেবে খ্যাত বগুড়ার ঐতিহাসিক মহাস্থানহাট। উপজেলার এ হাটে প্রতিদিন হাজার হাজার কৃষক ও গৃহস্থরা তাদের গরু-ছাগল ও উৎপাদিত খাদ্যশস্যসহ বিভিন্ন মালামাল বিক্রি করতে গিয়ে সরকার নির্ধারিত টোল মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ গচ্ছা দিতে হতো। এতে আর্থিক তিগ্রস্ত হচ্ছেন হাটের ক্রেতা-বিক্রেতারা এবং মাত্রাতিরিক্ত টোল আদায়কারী কর্মীদের অসদাচরণের শিকার হয়ে হাট বিমুখ হচ্ছেন সাধারণ হাটুরেরা। এর আগে হাটের প্রথম কার্য দিবসে উক্ত হাটের সরকার নির্ধারিত হারের চেয়ে অতিরিক্ত টোল ও বিক্রেতাদের নিকট থেকে খাজনা আদায় করতে মহাস্থান হযরত শাহ সুলতান বণিক সমিতির প থেকে নিষেধ করলে হাট ইজারাদার সংশিষ্টদের সাথে বিবাদ সৃষ্টি হয়। শেষ পর্যন্ত সেটি মামলায় গড়ায়। মহাস্থানহাট কে কেন্দ্র করে এখানে হাজার হাজার মানুষের কর্মস্থান। মাত্রাতিরিক্ত টোলের নামে হাট নষ্ট করা হচ্ছে। এই হাট রার দায়িত্ব আমাদের সবার।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফি বলেন, মহাস্থানহাটে প্রায় তিনশতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মহাস্থানহাটে কোথাও টোল তালিকা প্রদর্শন করা ছিল না। হাটের মূল ইজারাদার হাটকে ৯টি ভাগে বিভক্ত করে নিয়মবহির্ভূত ইজারা প্রদান করেছেন। সাব-ইজারা গ্রহীতারা পৃথক পৃথক ভাবে মালামাল বাজারে টোল আদায়ের জন্য বিভিন্ন লোক নিয়োগ দিয়েছেন। তারা সরকারি নীতিমালা বিন্দুমাত্র ভ্রুপে না করে নিজেদের মনগড়া হারে টোল আদায় করে চলেছেন। শুধু তাই নয়, হাট-বাজার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব ইজারাদারদের থাকলেও সেদিকেও অবহেলা।। ভুক্তভোগী কৃষক ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগের ভিত্তিতে আজ মহাস্থান হাটে সরকারি রেটে টোল আদায়ের তালিকা স্থাপন করা হলো। এরপরেও সরকার নির্ধারিত মূল্যের বাইরে টোল আদায় করা হলে অনিয়ম সহ্য করা হবে না বরং কঠোর হস্তে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ইউপি চেয়ারম্যান শফি তার বক্তব্যে যোগ করেন। একই ভাবে বক্তব্য প্রদান করেন, ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন লালু, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম। এসময উপস্থিত ছিলেন, ইউপি সদস্য বেলাল মন্ডল, মহসিন আলী, ফারুক হোসেন, মহাস্থান বণিক সমিতির সংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, মোশাররফ হোসেন সহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী মহল।