স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ায় আব্দুর রাজ্জাক সরকার (৬৫) নামের আমেরিকা প্রবাসীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আরও এক পলাতক আসামী মুনছুর (২৪)কে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে সদর উপজেলার মহিষবাথান সরকারপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মুনছুর ওই এলাকার মিলন প্রামানিকের ছেলে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত নিহত রাজ্জাকের ভাতিজা ওমর খৈয়ম রুপম (৪৫), সীমান্ত (২০), লিমন শেখ (২২) হিফযুল হক জনি (২৬) ও আল আমিন (২২)। এরমধ্যে জনি ও আমিনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেফতার করে পুলিশ।
নিহত আব্দুর রাজ্জাক তার পরিবার নিয়ে আমেরিকায় বসবাস করতেন। তবে বগুড়া শহরে ও গ্রামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অনেক জায়গা জমি থাকায় বছরের অর্ধেক সময় বগুড়ায় বসবাস করেন তিনি। একমাস আগে আব্দুর রাজ্জাকের মা মারা যান। ঈদের দিন রাতে বগুড়া শহর থেকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া করে মহিষবাথান গ্রামে যান তিনি। সেখানে মায়ের কবর জিয়ারত শেষে মহিষবাথান বন্দরে দোকানে বসে চা পান করছিলেন। এ সময় তার ভাতিজা ওমর খৈয়ম সরকার রোপনের নেতৃত্বে ৮-১০টি মোটর সাইকেলযোগে একদল লোক তাকে ঘিরে ধরেন। এরপর একজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয়। এ সময় আব্দুর রাজ্জাক তার লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে পালানোর চেষ্টা করেন। এক সময় ত্রিমোহনীতে রাস্তায় পড়ে যান। সেখানে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাত্ত জখম করে ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে যান হামলাকারীরা। পরে তাকে উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
হত্যাকান্ডের পর একটি প্রাইভেট কারে চড়ে তারা শহরে আসার সময় দত্তবাড়ী মোড়ে সদর থানা পুলিশের একটি দল গাড়িটির বেপরোয়া গতি দেখে থামিয়ে দেয়। সেখানে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জনি ও আমিনকে শজিমেক হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে গাড়ি তল্লাশি করে একটি বিদেশি পিস্তলসহ রুপম ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় বগুড়া সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে পরে মামলার তদন্ত ভার ডিবিকে দেয়া হয়।
বগুড়া ডিবির ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ জানান, প্রবাসী আব্দুর রাজ্জাক হত্যা মামলার পলাতক আসামী মুনছুরকে হাতকাটা রোপনের বসতবাড়ী থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।