তীব্র রোদ আর অসহ্য গরম দিয়ে বাংলা বছরের বৈশাখের প্রথম দিন শুরু হয়েছে।এদিকে ঈদকে সামনে রেখে রমজানের মধ্যভাগ না আসতেই ঈশ্বরদী শহরের রাস্তাগুলোতে তীব্র যানযট সৃষ্টি হয়েছে।শহর কে যানজট মুক্ত রাখতে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছে ঈশ্বরদী ট্রাফিক পুলিশ।উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার নামে পরিচিত এ উপজেলা বানিজ্যিক এলাকা হওয়ায় শহরের মধ্যে তীব্র যানযট সৃষ্টি হয়।যোগাযোগ ব্যবস্থা ও ভৌগিলিক বৈশিষ্ট্যের কারনে ব্রিটিশ আমলে শহর হিসেবে গড়ে ওঠার কিছুটা ছোয়া পায়।পুরাতন শহর হওয়ায় অপরিকল্পিত চিন্তাধারায় শহরের রাস্তা গুলো অনেকটা সরু হয়ে গড়ে ওঠে।এখানে শত শত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকলেও নেই কোনো গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। ফলে সড়কের পাশে যানবাহন পার্কিং করতে হয় ক্রেতাদের। ঈদ অথবা যে কোনো উৎসবে এ এলাকায় প্রচুর মানুষের আনোগোনা হয়। তার সঙ্গে যানবাহনের ও চাপ বাড়ে। এতে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় ক্রেতা-বিক্রেতাদের।কিন্তু তারপরও মানুষ সড়কের পাশে গাড়ি রেখে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে আসছে। এসব আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ট্রাফিক পুলিশের আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এতে দূর-দুরান্ত থেকে ঈদের মার্কেট করতে আসা ব্যক্তিরা শহরের সড়কগুলোতে স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরছেন।
এদিকে বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়,ঈদ কে সামনে রেখে রমজানের আগে থেকেই ঈশ্বরদী ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তারা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে।এরইমধ্যে শহরের ব্যস্ততম বাণিজ্যিক এলাকা গুলোতে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শহর কে সুন্দর, যানযট নিরসন ও মানুষ কে স্বস্তি দিতে কাজ করে যাচ্ছেন ঈশ্বরদী পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও পৌর মেয়র ইসাহাক আলী মালিথা। ঈশ্বরদী পৌর মেয়র ইসাহাক আলী মালিথা বলেন,শহরের যানযট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি পৌর কর্তৃপক্ষ থেকে পৌর পুলিশ কাজ করছে।শহর কে সুন্দর ও যানযট মুক্ত রাখতে পৌর কর্তৃপক্ষ নিয়মিত মনিটরিং করছেন।যানযট নিরসনে আলাদা দুইটি পার্কিং ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
পাশাপাশি সড়কের পাশে গাড়ি পার্কিং না করে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আরিফ হোসেন খান বলেন,ঈদ কে সামনে রেখে আমরা সব ধরনের ব্যবস্থায় রাখছি,যদি যানযটের পেশার বাড়ে তাইলে আমরা অটো রিকশা,ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ করে দিবো।যানযটের পেশার বাড়লে বিশ রোজার পড় থেকে আমরা ভারী যানবাহন প্রবেশে কিছু নিয়ম দিয়ে দিতে পারি।রাস্তার পাশে গাড়ি পার্কিং করলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।তিনি আর ও বলেন,আইন অমান্যকারীরদের জন্য কঠিন প্রসিকিউশন ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে শহরে আসে পাশে ঘুরে দেখা যায়,শহর কে যানযট মুক্ত রাখতে পবিত্র রমজানে তীব্র রোদ গরমেও ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্বের সাথে কাজ করে যাচ্ছে।ইফতারির সময়ে কোন রকম পানি খেয়ে যানযট নিরসনে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।সার্জেন্ট অপান্বিতা বৈরাগী জানান,এই তীব্র গরমেও মানুষ যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে চলতে পারে সেভাবে সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি।শহরে যেনো যানযট সৃষ্টি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে কাজ করছি ও আইন অমান্যকারীদের জন্য আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।তিনি আর ও বলেন আমাদের কাজ ই মানুষ কে সেবা দেয়া,তীব্র গরমে কষ্ট হলেও কষ্টের থেকে দায়িত্ব আমাদের কাছে বড়।কষ্ট হলেও মানুষ কে সেবা দিতে পেরে ভালো লাগে।এবারের ঈদকে কেন্দ্র করে শহরের যানজট মুক্ত রাখতে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছে পুলিশের এই বিভাগ। বিশেষ করে গাড়িগুলোকে ট্রাফিক পুলিশ একি অবস্থানে বেশিক্ষন অবস্থান করতে দিচ্ছেন না। এতে যানযট সৃষ্টি কম হচ্ছে।শহরে যানযট লাগার প্রধান সড়ক গুলোতে যানবাহন না রাখা জন্য তৎপরতা শুরু করেছে ট্রাফিক পুলিশ।
এদিকে সাধারণ মানুষ যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদের কেনাকাটা করতে পারেন সেজন্য শহরে সবধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।