ঈশ্বরদী প্রতিনিধি:বিভিন্ন সময় পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ইভটিজিং, ভিকটিমকে হয়রানি, হত্যাকাণ্ডসহ নানা অপকর্মের ঘটনা ঘটেছে। এর বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নেতৃত্বে থাকে সোর্স আর পেছনে পুলিশ। সাধারণত অপরাধী সনাক্ত ও তদন্ত সংশ্লিষ্ট কাজেই সোর্সের সহযোগিতা নিয়ে থাকে পুলিশ। তবে বেশ কিছু ঘটনায় পেশাগত কাজের বাইরে সোর্সদের সহযোগিতায় ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের ঘটনায় ফেঁসে গেছে কয়েক পুলিশ সদস্য। সম্প্রতি পুলিশ-সোর্সের সম্পর্ক বেশ দূরত্ব। সোর্সরাও গা ঢাকা দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর প্রতিটি থানা এলাকায় অর্ধশত খাত থেকে সোর্সরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাম ভাঙিয়ে নিয়মিত চাঁদাবাজি করে আসছে। মামলা পাল্টা-মামলা, চার্জশিট ইত্যাদির নামেও তদবির করে সোর্সরা বিশাল অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অথচ পুলিশের সোর্স রাখার কোনও বিধান আইনের কোথাও নেই। ফৌজদারি কার্যবিধি কিংবা পুলিশের পিআরবি’র (পুলিশ রেগুলেশন অব বাংলাদেশ) কোথাও পুলিশের সোর্স রাখা বা পালনের বিষয়টিও উল্লেখ করা নেই। পুলিশ সূত্র জানায়, আসামি ধরা ও অপরাধীদের স্পট খুঁজতে ব্যক্তিগতভাবে সোর্সের সহযোগিতা নিতে পারে। তবে থানায় সোর্সের আনাগোনাও রাখা যাবে না এমনটাই নির্দেশনা ছিল পুলিশ সদর দফতর থেকে। বর্তমান পুলিশ মহাপরিদর্শক দায়িত্ব নেয়ার পরেই বলেছিলেন যে থানার সামনে সোর্সের আনাগোনা দেখা যাবে সেই থানা ওসির বিরুদ্ধে নেয়া হবে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান। সূত্র, দৈনিক স্বতঃকন্ঠ।