ফটো ফাইল:
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ঈশ্বরদীর বিভিন্ন স্থানে ও পাড়া মহল্লায় উঠতি বয়সের কিছু অসাধু ছেলে ও মেয়েরা মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জড়িয়ে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন, দীর্ঘদিন ধরে দেখার কেউ নেই।
বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক মাদক ব্যবসায়ী থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতারও হয়েছে তবুও থেমে নেই নুরুজ্জামানের স্ত্রী রোজিনা বেগম ও জাহাঙ্গীরের স্ত্রী রুপালি বেগমের মাদক ব্যবসা।
জানা যায় ঈশ্বরদী রেলওয়ে ডায়াবেটিকস হাসপাতালের পিছনে রোজিনা, ঈশ্বরদী পূর্ব নূরমহল্লা বস্তিপাড়ার জাহাঙ্গীরের স্ত্রী রুপালি বেগম দীর্ঘদিন ধরে গাঁজা ও ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রি করে আসছেন।
এসব চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের প্রকাশ্য অবাধ বিচরণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী।
আমাদের সংবাদদাতা সংবাদ সংগ্রহ কালে এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা বলেন মানুষ ভয়ে মুখ খুলতে পারছে না কিছু অসাধু রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ভয়ে। তিনি আরও বলেন আমি নিজের থেকে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এসব এলাকা মাদকসেবীদের নিরাপদ স্থান হওয়ায় এখানে নির্বিঘ্নে তারা প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এলাকার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাঁজা, বাংলা মদ ও হেরোইনসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক সেবন করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী জানায়, ফতেমোহাম্মদপুর ফুটবল মাঠ ভাঙ্গা ব্রিজের নিচে সাগর হোসেন দীর্ঘদিন ধরে গাঁজা, ইয়াবা, ফেনসিডিলের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন।
এলাকাবাসী আরো জানায়, এলাকার কিছু অসাধু শিক্ষার্থীদের হাতেও ইয়াবা ট্যাবলেট তুলে দিচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীরা। এই এলাকায় সরকারি দলের কিছু প্রভাবশালী নেতারা এসব মাদক ব্যবসায়ীদের আশ্রয় দেওয়ায় এলাকার সাধারণ মানুষ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না বলে জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী সচেতন গ্রামবাসীরা আরও বলেন, এসব মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে গোপনে বিভিন্ন দপ্তরে বলা হলে মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার হলেও, দুই একমাস পর জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পরেন।
মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে মাদক ব্যবসা দিন দিন বেড়েই যাবে বলে জানান তিনি।