ফেনী শহরে হাতিরঝিল করার পরিকল্পনা নিয়েছে পৌরসভা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে একদিকে যেমন হারিয়ে যাওয়া খাল পানিপ্রবাহ ফিরে পাবে তেমনি আলোয় ঝলমল শহর উপভোগ করতে পারবে বাসিন্দারা। এটি বাস্তবায়ন হলে রাজধানীর মতো আরেকটি হাতিরঝিল গড়ে উঠবে ফেনীতে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, খাল সংরক্ষণ, পরিবেশ সুরক্ষা ও সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য ২০১৬ সালের দিকে মেগাপ্রকল্প হাতে নিয়েছিল পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। রাজধানীতে হাতিরঝিল যেভাবে তৈরি করা হয়েছে, অনেকটা সেভাবেই এই প্রকল্পের অবয়ব। কিন্তু দাতা সংস্থা থেকে অর্থ বরাদ্দ না মেলায় প্রকল্পটি বছরের পর বছর ধরে ঝুলে আছে। পৌরসভার বর্তমান মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী দায়িত্বগ্রহণের পর ইশতেহার অনুযায়ী শহরের সৌন্দর্যবর্ধনের উপর জোর দিচ্ছেন। এর অংশ হিসেবে প্রস্তাবিত ‘হাতিরঝিল’ প্রকল্পটির বাস্তবায়নে জোর চেষ্টা রয়েছে বলে ফেনীর সময় কে জানিয়েছেন তিনি। পৌরসভা সূত্র জানায়, শহরের সদর হাসপাতাল মোড় সংলগ্ন বি.এড কলেজ সম্মুখস্ত স্থান থেকে বিরিঞ্চি, সহদেবপুর, পেট্টোবাংলা, ট্রাংক রোড হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক পর্যন্ত এই প্রকল্প এলাকা। ৫.৪ কিলোমিটার এই প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫০ কোটি টাকা। এখানে থাকবে ৪০ ফুট প্রশস্ত রাস্তা, মাঝখানে ডিভাইডার। খালেরপাড়ে থাকলে ব্লক সিসি, বসার বেঞ্চ। কুমড়াচড়া খাল, দাউদপুর খালের উপর সহ বিভিন্ন স্থানে অন্তত ২০ টি কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। বিভিন্ন স্থানে রাখা হবে বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থা। বাহারি আলোর বিচ্ছুরণ ঘটাতে স্ট্রিট লাইট স্থাপন করা হবে। ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দল একাধিকবার এ প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন। মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী ফেনীর সময় কে জানান, শহরের রাজাঝির দীঘি ও বিজয়সিংহ দীঘির সৌন্দর্যবর্ধনের পর শহরকে আলোয় আলোকিত করতে ব্যাপক উদ্যোগ রয়েছে। প্রস্তাবিত হাতিরঝিল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ফেনী শহরের সৌন্দর্য আরো একধাপ এগিয়ে যাবে। এখানে গিয়ে শহরবাসী পরিবার-পরিজন নিয়ে আনন্দে সময় কাটাতে পারবেন। এছাড়া খাল-লেক পরিকল্পনা মতো ব্যবহার করা হলে জলাবদ্ধতা থাকবেনা। শুধু তাই নয়, খালগুলো শহরবাসীর বিনোদনের চাহিদা পূরণ করবে। এটি বাস্তবায়ন হলে রাজধানীর মতো আরেকটি হাতিরঝিল গড়ে উঠবে ফেনীতে।