গত ০৬ ফেব্রæয়ারি ২০২৪ ইং তারিখ আনুমানিক রাত ০৯.০০ ঘটিকায় মোঃ আলামিন প্রাং (২৪) তার বন্ধুর বাড়ি বয়ড়াদিঘী গ্রামে যায় এবং বয়ড়াদিঘী গ্রামস্থ বয়ড়াদিঘী দোতলা মসজিদ এর উত্তরপার্শ্বে চেয়ারম্যানের বাড়ীর গলির প্রবেশের পাকা রাস্তার উপর উচ্চস্বরে কথা বলায় আসামী মোঃ মারুফ (২০) এর সাথে তর্ক বিতর্ক হয়। তর্ক বিতর্কের একপর্যায়ে ধৃত আসামী মারুফ ধারালো চাকু দ্বারা আলামিনকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন দ্রæত শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বগুড়ায় নিয়ে যায় এবং ভিকটিম ০৮ ফেব্রæয়ারি ২০২৪ ইং তারিখ ১২.৩০ ঘটিকায় চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদি হয়ে শাজাহানপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যার নং-১০ তারিখ ০৯/০২/২৪ ধারা-৩২৩/৩০২/৫০৬/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০। এ ধরনের নৃশংস ও বর্বরোচিত হত্যাকান্ডটি বগুড়া জেলাসহ সারা দেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় আলোড়ন তৈরি করে। আসামীদের দ্রæত গ্রেফতার করতে র্যাব-১২, সিপিএসসি, বগুড়া ক্যাম্প গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ০৯ ফেব্রæয়ারি ২০২৪ ইং তারিখ ১৭.০০ ঘটিকায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১২, বগুড়া ও র্যাব-৪, সাভার এর যৌথ অভিযানে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ মারুফ (২০), পিতা- মোঃ মিজান, পালক পিতা- মোতালেব, স্থায়ী সাং- এরলবিশা, থানা- শাজাহানপুর, জেলা- বগুড়া’কে ১২ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।