একাদশ জাতীয় সংসদের মেয়াদ থাকা অবস্থায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণ সাংবিধানিকভাবে হয়েছে। তারপরও নীতিনির্ধারকরা সংবিধানের এ সংক্রান্ত বিষয়ে স্পষ্টীকরণের প্রয়োজন মনে করলে বিষয়টি দেখা হবে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এ কথা বলেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
মন্ত্রীরা যখন শপথ নেন তখন আগের মন্ত্রিসভা বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু সংসদ সদস্যরা শপথ নিলেও আগের সংসদ বাতিল হয় না। সেক্ষেত্রে আইনের অস্পষ্টতা আছে বলে আপনি মনে করেন কি না- এক সাংবাদিকের এ প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, ব্যাপারটা হচ্ছে সংবিধানে এখন যা আছে, সেভাবেই দেশ চলছে এবং এটা আজকে সংবিধানে সন্নিবেশিত করা হয়নি। এটা চতুর্দশ সংশোধনীতে সংযোজন করা হয়েছিল। এখন যে বিষয়টা নিয়ে আলাপ করা হচ্ছে, এটার বোধহয় খুব একটা গুরুত্ব নেই। তারপরও আমি বলবো, নীতিনির্ধারকরা যদি মনে করেন এখানে কিছু আরও স্পষ্ট করার প্রয়োজন আছে, সেটা দেখা যাবে।
আইনমন্ত্রী হিসেবে বিষয়টি স্পষ্টীকরণের প্রয়োজনীয়তা আছে বলে মনে করেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন ‘আমি তো বললাম নীতিনির্ধারকেরা যদি মনে করেন স্পষ্টীকরণের প্রয়োজন আছে তাহলে দেখা যাবে।’ সাংবাদিকেরা এ সময় জানতে চান স্পষ্টীকরণ কোন জায়গায় (সংবিধানের কোন অংশে) হতে পারে? এর জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন ‘আমি তো এখনও জানি না। নীতিনির্ধারকরা প্রয়োজন বোধ করলে তারপর কোন জায়গায় সেটা নীতিনির্ধারকেরা সিদ্ধান্ত নেবেন। কিন্তু আমার মনে হয়, এখন যা হয়েছে, সবকিছুই সাংবিধানিকভাবে হয়েছে।’