নাটোরের বড়াইগ্রামে ভলিবল খেলাকে কেন্দ্র করে কয়েন ও ধানাইদহ নামে দুুই
গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, দেশী অস্ত্রের প্রদর্শনীতে এলাকা রণক্ষেত্রে পরিনত
হয়েছে। এই ঘটনায় কমপক্ষে ৫জন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শুরু হয়
এই হামলা ও পাল্টা হামলা সহ দেশী অস্ত্রের মহড়া। এতে ভীতসন্ত্রস্ত্র হয়ে পড়ে এলাকার
নারী, বৃদ্ধ ও শিশুরা। দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত হয়েছেন, ধানাইদহ গ্রামের
ফয়েজ উদ্দিন মালিথার ছেলে মামুন মালিথা (৩৫), পটু আলীর ছেলে ওমর আলী (৬৫),
লোকমান হোসেনের ছেলে সাহাবুল ইসলাম (৩৫) কয়েন গ্রামের হাসেন আলীর
ছেলে আব্দুর রহমান (৩০), মৃত কোরবান আলীর ছেলে রাজু আহম্মেদ (৩৬) সহ আরও
কয়েকজন।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, পাঁচবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ভলিবল খেলাকে কেন্দ্র
করে ধানাইদহ গ্রামের উকিল আলীর ছেলে মিল্টন হোসেন ও কয়েন গ্রামের রবিউলের
ছেলে আজিজুল ইসলামের দ্বন্দ হয়। সেই সময় ধানাইদহ গ্রামের কয়েকজন
আজিজুল ইসলামকে মারপিট করে। আজিজুল ইসলাম কয়েন গ্রামের মৃত কোরবান
আলীর ছেলে রাজু আহমেদকে বিষয়টি জানায়। রাজু আহমেদ তার ভাই হাসান
আলীসহ ১৫ থেকে ২০ জন ওই বিদ্যালয়ের ছাত্র ও ধানাইদহ গ্রামে সিফাত, আতাউর,
শাহরিয়ার ও শাওনকে মারপিট করে। আহত ছাত্ররা বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি পরিবারকে
জানালে সংঘবদ্ধ হয়ে রাজুকে মারপিট করতে যায়। এসময় কয়েন গ্রামের লোকজন
সংঘবদ্ধ হলে অপরদিকে ধানাইদহ গ্রামবাসীও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। এতে
বন্ধ হয়ে যায় ওই এলাকার দোকানপাট ও যানবাহন। সংঘর্ষে দুই গ্রামের কমপক্ষে ৫
জন আহত হয়। পরে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল
রাজীব, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) বোরহান উদ্দিন
মিঠু গিয়ে পরিস্থিতি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এসময় ধানাইদহ গ্রামের
লোকজন মাইকিং করে লোক সমাগম করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। সে সময়
পুলিশের সাথে তাদের বাগবিতন্ডার সৃষ্টি হয়।
বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীব জানান, পরিস্থিতি
নিয়ন্ত্রন রয়েছে। উভয় পক্ষকে থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। লিখিত
অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
#
শাজাহান পাঠান
বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি