চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানার বার্মা কলোনি ও এর আশাপাশের বিভিন্ন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কয়েকটি কিরিচ, রামদা ও একটি খেলনা পিস্তল।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) রাত থেকে সোমাবার সকাল পর্যন্ত বায়েজিদের বিভিন্ন পাহাড় ও নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এর আগে গত রোববার ‘চট্টগ্রামে বার্মা আতঙ্ক’ শিরোনামে কালবেলায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।
পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তাররা হলো- সাব্বির হোসেন শাওন, মো. ইমরান, মো. নজরুল, ইসমাইল উদ্দিন আকাশ, মো. হাসান, মো. সজিব, ইয়াসিন রায়হান হৃদয় প্র. বাবু, মো. রমজান , মো. শাকিল হোসেন প্র. রনি, মো হাবিব, মো. রাসেল, ইমরান হোসেন, মো. ইমন, আরিফুল ইসলাম, মো মানিক, মো. সুমন, মো. মনির হোসেন।
পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার বায়েজিদে বিভিন্ন দোকানপাট ভাঙচুর চালায় এ বাহিনীর সদস্যরা। বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ছড়ানো হয় আতঙ্ক। এসময় দা, ছুরি, কিরিচ হাতে মহড়া দেয় এ গ্রুপের সদস্যরা। তারা মূলত ছাত্রদল নেতা ‘বার্মা’ সাইফুলের গ্রুপ হিসেবেই পরিচিত। সম্প্রতি সাইফুলকে গ্রেপ্তারের পর সাইফুলের ভাই সবুজের নেতৃত্বে মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। এ ঘটনার পর এ গ্রুপের সদস্যরা বায়েজিদের বিভিন্ন পাহাড়ে পালিয়ে গিয়েছিল। পরে টানা অভিযান চালিয়ে গ্রুপের ১৭ সদস্যকে গ্রেপ্তারে সক্ষম হয় পুলিশ। এ ঘটনায় সবুজকে গ্রেপ্তারে এখনো অভিযান চলছে।
বায়েজিদ থানার ওসি সঞ্জয় কুমার সিনহা কালবেলাকে বলেন, ‘ঘটনার পর তারা বিভিন্ন পাহাড়ে লুকিয়ে ছিল। টানা অভিযান চালিয়ে আমরা তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। ঘটনার দিন যেই অস্ত্রটি দেখা গেছে সেটি খেলনার বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। তারা হাতে অস্ত্রটি দেখিয়ে পেছনে বিভিন্ন ধরনের চকলেট বাজি ফুটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। তাদের অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ঠ। এক একজনের বিরুদ্ধে ২৫-৩০টা করে মামলা আছে। যে বা যারাই বেআইনি কাজে জড়িত থাকুক। তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’