অভিনয়ের প্রয়োজনে কিংবা শখ মেটাতে তারকাদের ওয়ার্ডরোব ভর্তি থাকে বাহারি সব পোশাকে। শোবিজ তারকা সোহানা সাবার ক্ষেত্রেও তা-ই। তবে তার পোশাক সবই যে দামি ব্র্যান্ডের, তা কিন্তু নয়। জানালেন, তার অনেক কাপড়, তবে সেগুলোর দাম আহামরি নয়।
কালবেলার বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান তারাবেলায় অতিথি হয়ে নিজের ফ্যাশনের ফিরিস্তি দিয়েছেন সোহানা সাবা। এ সময় তার গলায় ঝুলছিল একটি মুক্তার মালা।
সোহানা বলেন, আমি আসলে মুক্তা খুব পছন্দ করি। আমার কাছে মনে হয় মুক্তা সব কাপড়ের সঙ্গে যায়। এই ফ্যাশনটা কখনোই পুরোনো হয় না। তাছাড়া অথেনটিক পার্ল খুব এক্সপেনসিভও নয়। এ জন্যই আমার কাছে মুক্তা খুব বেশি পছন্দের। আমার কাছে পার্লের নানারকম নেকলেসের কালেকশন আছে।
তিনি আরও বলেন, আমি কসমেটিক অরনামেন্টস কালেক্ট করতে খুব পছন্দ করি। খুব বেশি পরি না, কিন্তু আমার কালেকশন হিউজ।
কথায় কথায় উঠে আসে অভিনেত্রীর শাড়ির প্রসঙ্গও। এই পোশাক সামলাতে মোটেও বেগ পোহাতে হয় না সোহানাকে। বললেন, আমি যখন ক্লাস টু-তে পড়ি, তখন থেকে স্টেজে নাচি। নাচের মেয়েদের সুবিধা হলো—শাড়ির সঙ্গে তাদের সখ্য একদম ছোটবেলা থেকেই হয়। যেহেতু আমরা নাচতে পারি তাই শাড়ি পরে হাঁটাচলায় আমাদের খুব বড় একটা সমস্যা হয় না।
তিনি আরও বলেন, আমরা নাচের মেয়েরা পিনআপ ছাড়াই খুব সুন্দরভাবে শাড়ি ক্যারি করতে পারি। শাড়ি পরলে আমাকে দেখতে ভালো দেখায়, অন্য কিছুর চেয়ে ভালো লাগে দেখতে—এটা আমি জানি। কিন্তু একটু কম পরা হয়। কারণ আমার সব সময় মনে হয়—ভালো জিনিস একটু কমই ভালো।
সোহানা বলেন, ওয়েস্টার্ন আউটফিটে আমি সবসময় একেবারেই কমফোর্টেবল। কারণ এটা চটজলদি পরে যে কোনো জায়গায় চলে যাওয়া যায়। ক্যারি করতেও বেশ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। আমার শাড়ির কালেকশন হিউজ, তারপরও আমি ওয়েস্টার্ন আউটফিটই বেশি পরি।
কাপড়ের ব্র্যান্ড ও মূল্যের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি কিন্তু খুব কম দামি কাপড় পরি; মানে খুবই কম দামি। সেটা ব্র্যান্ডেড হতে হবে—বিষয়টা একেবারেই নয়। কেউ জিজ্ঞাসা করলে প্রাইস বলে ক্রেডিট নিতে পছন্দ করি। আমার কাছে মনে হয় যে কোনো আউটফিট যদি আমি কনফিডেন্টলি পরতে পারি, আমি জানি সেটা কেন পরছি এবং সেটা আমাকে মানিয়েছে কি না, এটাই যথেষ্ট; আর কিছু ম্যাটার করে না। কিন্তু জুতা অনেক বেশি রিপিট করা হয়। তাই একটু ভালো ব্র্যান্ডের হলে সেটার কোয়ালিটি একটু ভালো হয়। ঘড়িও বারবার রিপিট হয়। তাই আমার ঘড়িটাও একটু এক্সপেনসিভ হয়। ব্যাগও একটু এক্সপেনসিভ ব্র্যান্ডেড হয়। এ ছাড়া আমার অনেক কালেকশন। আমার কাপড়ের অনেক কালেকশন, কিন্তু সেগুলো খুবই কম দামি।
সোহানা সাবা মনে করেন, যারা ফ্যাশনোর ব্যাপারে অনিশ্চয়তায় ভোগেন, তারাই আসলে ব্র্যান্ডের বিষয়ে বেশি নজর দেন। তারা ভাবেন, ব্র্যান্ডের কাপড় পরলে ব্র্যান্ডই তার ফ্যাশনের দায়িত্বটা নিয়ে নেবে।
সোহানা বলেন, অনেকে ভাবেন যে এখন এই ফ্যাশন চলছে তাই আমাকে এটাই পরতে হবে। আমার এগুলো একদমই ম্যাটার করে না। কোনো ফ্যাশন ট্রেন্ড নিয়ে আমি মাথা ঘামাই না। আমার মনে হয় আমার স্টাইলে আমি চলব, আমার পেছনে সবাই লাইন ধরে দাঁড়াবে। আমি যে কাজটা করি সেটা জেনেশুনে বুঝে করি। এটুকুই।
নিজের পারফিউমের বিষয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, তিন-চারটা পারফিউম মিক্সড অ্যান্ড ম্যাচ করে আমি প্রতিদিন ব্যবহার করি। প্রত্যেকটা মানুষ কিন্তু তার নিজের একটা স্মেল নিয়েই জন্মায় এবং সেটার সঙ্গে বড় হয়। সেই স্মেলের সঙ্গে স্পেসিফিক কিছু পারফিউম মেলে, সব পারফিউম না। বেশি কড়া পারফিউম আমি নিতে পারি না, আমার মাথাব্যথা করে। এ জন্য আমি খুব মাইল্ডগুলোই সিলেক্ট করি।
কেনাকাটার প্রশ্নে সোহানা বলেন, আমি দেশ থেকেই শপিং করি। শাড়ি দেশ থেকেই নিই। আমাদের দেশে এখন সুন্দর-সুন্দর ব্র্যান্ড আছে। আমি আসলে সালোয়ার কামিজ পরি না। দেশে অনেক ইন্টারেস্টিং জায়গা আছে যেখানে এক্সপোর্ট কোয়ালিটির পোশাক পাওয়া যায়। ঢাকা কলেজের অপজিটে, সেখানে আমি মাঝেমধ্যে চলে যাই বোরকা পরে, কমবেশি সবাই যায় সেখানে। অনেকের সাথে আমার দেখা হয়ে যায়, দেশের বাইরে থেকেও কেনা হয়।