দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে কিশোরগঞ্জে নিজ গ্রামে এসেছেন ইতালি প্রবাসী আবুল কাশেম স্বপন (৪৫)। ঢাকায় পৌঁছার পর হেলিকপ্টারে করে তিনি এলাকায় আসেন। এতে গ্রামজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। হেলিকপ্টার দেখতে সকাল থেকে বাড়ির পাশে স্কুল মাঠে ভিড় জমান গ্রামের শত শত ছেলে-বুড়ো ও নারীরা।
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার পৌর শহরের তেলিয়াচাড়া এলাকার বাসিন্দা মেনু মিয়ার একমাত্র ছেলে আবুল কাশেম স্বপন। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেল পৌনে চারটায় ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার তাহেরা নূর উচ্চবিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ মাঠে অবতরণ করে। এ সময় এলাকার ছেলে-বুড়ো ও নারীরা ফুল দিয়ে আবুল কাশেম স্বপনকে বরণ করে নেন। হেলিকপ্টার দেখতে দুপুর ১২টা থেকে মাঠে ভিড় করেন এলাকার শত শত মানুষ।
আবুল কাশেম স্বপন বলেন, ১২ বছর ধরে ইতালিতে থেকে ব্যবসা করেন তিনি। তিনি কটিয়াদী উপজেলা প্রবাসী ঐক্য ফাউন্ডেশনের সভাপতি। হেলিকপ্টারে করে স্বপন, তার বাবা মেনু মিয়া, তার স্ত্রী হোসনা আক্তার ও ছোট ছেলে বিজয়কে বাড়িতে নিয়ে আসেন। মূলত বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে এবং সামনে নির্বাচনে ভোট দিতেই বাড়িতে এসেছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, তা ছাড়া দীর্ঘ ৩০ ঘণ্টা ভ্রমণ শেষে ঢাকায় পৌঁছে সেখান থেকে বাড়িতে আসতে আরও ৪ ঘণ্টার সময় প্রয়োজন। তাই তারা বাবার কষ্ট এবং অনেক দিনের স্বপ্ন এলাকায় হেলিকপ্টারে করে আসবেন এলাকাবাসিকে হেলিকপ্টার দেখাবেন। যেহেতু সামনে নির্বাচন এই সুযোগে বাবার (মেনু মিয়া) দেশে আসা আর ভোট দেওয়া দুটো স্বপ্ন পূরণ হবে। বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে পেরে আমি আনন্দিত।
স্বপনের বড় চাচা নুরুল ইসলাম বলেন, আমার ভাতিজা স্বপন তার পরিবারের সবাইকে নিয়ে সংসদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য এসেছেন। আমরা আওয়ামী লীগের সমর্থক। তিনিও আওয়ামী লীগ করেন।
পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্বপনের বন্ধু আমিনুল হক ফয়সাল বলেন, প্রতিটি নির্বাচনেই স্বপন বাড়িতে আসেন। এবারও এসেছেন। তার আসাতে আমাদের শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বপন এলাকার মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থাকেন। এমন বন্ধু পাওয়া ভাগ্য।