কেন্দ্র ঘোষিত গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ঢাকা মহানগরী উত্তর গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, সরকার কথিত নির্বাচনের নামে প্রহসন করে দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে রীতিমতো রঙ্গশালায় পরিণত করেছে। ফ্যাসিস্ট, কর্তৃত্ববাদী, স্বৈরাচারী, অবৈধ ও জুলুমবাজ সরকার নিজেদের রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করার জন্যই পরিকল্পিতভাবেই দেশকে গভীর সংকটের মুখে ঠেলে দিয়েছে।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) রাজধানীতে কেন্দ্র ঘোষিত গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজনে কাজীপাড়া স্টেশন, বাজার ও রোকেয়া সরণিতে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেন।
জনগণকে ভোটদানে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, হিসেবে তামাশা ও ভাঁওতাবাজির নির্বাচন প্রতিহত করতে জনগণকে ভোটদানে বিরত থাকতে হবে। এ সময় তিনি ঘোষিত তপশিল বাতিল ও কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবি জানান।
ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, সরকার দেশকে অঘোষিতভাবে একদলীয় বাকশালী ও মাফিয়াতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সে ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্যই তারা দেশে নির্বাচনের নামে ইতিহাসের নির্মম ও নিকৃষ্ট তামাশার আয়োজন করেছে। আর সে কাজে সহযোগির ভূমিকা পালন করছে কথিত নির্বাচন কমিশনের নামের ‘ইন্তিকাল কমিশন’। তাই সরকার ও ইন্তিকাল কমিশনের যুগপৎ ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ৭ জানুয়ারির সাজানো ও পাতানো নির্বাচনকে ‘না’ এবং সম্মিলিতভাবে ভোট বর্জন করতে হবে।
তিনি বলেন, সরকার নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার জন্যই রাষ্ট্রীয় সংবিধান ও মানবাধিকারের মারাত্মক লঙ্ঘন করছে। কেড়ে নেওয়া হয়েছে জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার। তারা ২০১৪ সালে একদলীয় ও তামাশার নির্বাচন করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে পূর্ণ মেয়াদে ক্ষমতায় থেকে জনগণের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছে। ২০১৮ নৈশভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে দেশকে লুটপাট, হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত করা হয়েছে। তারা একইভাবে একতরফা ছলচাতুরী ও প্রতারণার নির্বাচনের মাধ্যমে নিজেদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা প্রলম্বিত করতে চায়। কিন্তু তাদের সে স্বপ্ন-দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে-ইনশাআল্লাহ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য এস এ টুটুল, ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য অধ্যাপক ইবনে তালেব, আব্দুল আউয়াল আজম ও আব্দুল মতিন খান প্রমুখ।
এর আগে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর উত্তরা পূর্ব অঞ্চলের উদ্যোগে থেকে উত্তরা আব্দুল্লাহপুর বেড়িবাঁধ সড়কে লিফলেট বিলি করা হয়। এ সময় কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য মুহাম্মদ জামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে পরিচালিত কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন উত্তরখান থানা আমির আব্দুল্লাহ সাদিক, জামায়াত নেতা আবু সামি, শমসের আলি, আব্দুল হাকিম, যুব নেতা মারুফ হোসাইনসহ থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতারা।
এর আগে শের-ই-বাংলা নগর দক্ষিণ থানার উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির আলোকে ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের গণআন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচন বর্জন ও ভোট প্রদান থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে ফার্মগেটে এলাকায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করা হয়। থানা সেক্রেটারি এ এস মণ্ডলের নেতৃত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা তাজউদ্দিন, আনোয়ার উল্লাহ, জাহাঙ্গীর হোসেন, ছাত্রনেতা ইসমাঈল চৌধুরী ও ইজাজ আহমেদ প্রমুখ।
এ ছাড়াও প্রহসনের নির্বাচন বর্জন ও ভোট প্রদানে বিরত থাকার আহ্বান সংবলিত লিফলেট বিতরণ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মোহাম্মদপুর পূর্ব থানা। থানা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, আল আমিন ও ওমর ফারুক প্রমুখ।
জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের মোহাম্মদপুর পশ্চিম থানার উদ্যোগে জামায়াত নেতা শাহাবুদ্দীন মিজানের নেতৃত্বে মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকায় লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন নিজাম উদ্দিন, মাসুদ খান, জয়নাল মোল্লা প্রমুখ।