চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস ও কণ্ঠশিল্পী এবং গান বাংলা চ্যানেলের কর্ণধার কৌশিক হোসেন তাপস রাজধানীর ডিবি কার্যালয়ে আসেন। দুজন আলাদা আলাদাভাবে মঙ্গলবার দুপুর আনুমানিক ১২ টায় তারা রাজধানীর মিন্টো রোডের এই গোয়েন্দা বিভাগের কার্যালয়ে এসেছিলেন।
এরপর সেখান থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যম কর্মীদের মুখোমুখি হন তিনি। অপু বলেন, ভাইয়া-ভাবির (কৌশিক হোসেন তাপস ও ফারজানা মুন্নী) সঙ্গে দেখা হওয়ায় আজ আমি অনেক খুশি। তবে এখানে দেখা হবে আমি আশা করিনি। তার পরও খুব খুশি লাগছে। আমার ভাইবোন সুখী আছেন এটি ভেবে। ভাইয়া কথার মাঝে যে বিষয়টি তুললেন। আমার পারিবারিক প্রসঙ্গ যা আপনারা সবাই জানেন। তার পরও আমি বলব— চলচ্চিত্রের স্বার্থে পারিবারিক বিষয়গুলো বারবার আনা উচিত না। আমার মনে হয় দায়িত্বের জায়গা থেকে প্রত্যেক মানুষের এটা মানা উচিত। কারণ আমরা যতদিন নায়ক-নায়িকা হিসেবে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখব, ততদিন আপনারা সবাইকে জানাতে পারবেন।
অপু বললেন,আমি মনে করি আমরা সবাই মানুষ। ভুল মানুষেরই হয়। ভাইয়া-ভাবির মধ্যে আমাদের যে বিষয়টি হয়েছে, সেটি এখন আর নেই। আমার পেজে একটি ভিডিও আপনারা দেখেছেন। আমি দিয়েছিলাম আপনাদের সঠিক ব্যাখ্যার জন্য। কিন্তু ভাই-ভাবিকে কাছে পেয়ে, তাদের পারিবারিক জায়গাটি আমার অত্যন্ত শ্রদ্ধার মনে হয়েছে। তাদের শ্রদ্ধার জায়গা থেকে আমি মনে করি ভিডিওটি আজ ডিলিট করব। আপনারাও যারা কনটেন্ট ক্রিয়েটর আছেন, তারাও ডিলিট করে ফেলবেন।
ঘটনার সূত্রপাত কিছু দিন আগে। গানবাংলা টেলিভিশনের চেয়ারপারসন ফারজানা মুন্নী তার স্বামী সংগীতশিল্পী ও গানবাংলা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কৌশিক হোসেন তাপস ও শবনম বুবলীকে জড়িয়ে গুরুতর অভিযোগ এনেছিলেন। জানিয়েছিলেন, তাপসের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক বুবলীর। তবে ওই পোস্ট দেওয়ার কিছুক্ষণ পর তা মুছে দিয়ে মুন্নী জানান তার ফেসবুক আইডি হ্যাকারদের কবলে পড়েছিল।
এর পরই অপু বিশ্বাসের সঙ্গে মুন্নীর কলরেকর্ড ফাঁস হয়। সেখানে বুবলীর নামে বিস্তর অভিযোগ আনতে শোনা যায় মুন্নীকে। তবে কলরেকর্ডটি এডিট করা ছিল। মুন্নীর কথা থাকলেও সুকৌশলে ফেলে দেওয়া হয়েছিল অপুর কথা। এতে ক্ষুব্ধ ছিলেন মুন্নী। শাহরিয়ার নাজিম জয়ের উপস্থাপনায় এক সাক্ষাৎকারে কল রেকর্ড ফাঁসের অভিযোগে অপুকে অভিযুক্ত করেন তিনি। সেই সঙ্গে জানান অন্যের কথায় বুবলীকে সন্দেহ করেছেন তিনি এবং অপু তাকে ব্যবহার করেছেন।
এ ঘটনার পর বুবলী মুন্নীকে ধন্যবাদ জানালেও অপু ইঙ্গিতে পুরো বিষয়টি সাজানো বলে উল্লেখ করেন। পরে ভিডিওবার্তায় সরব হন তিনি। তারই ফলস্বরূপ ডিবি অফিসে ডাকা হয় অপুকে।