বগুড়ায় পেঁয়াজ বিক্রির জন্য বসে আছেন একজন বিক্রেতা।
ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার ঘোষণার খবরে বগুড়ায় পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। বাজারে পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে। এক রাতের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম পাইকারিতে কেজিতে ৩০ টাকা এবং খুচরায় ৪০ টাকা বেড়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, আমদানি কম থাকায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। আগামী এক সপ্তাহে আরও বাড়বে বলে তারা জানান।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে শহরের রাজাবাজার, রেল লাইনের ওপর বাজার এবনে ফতেহ আলী বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
বাজারে বর্তমানে নতুন দেশি পেঁয়াজ পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজি। যা গতকাল ছিল ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজি। পুরোনো দেশি পেঁয়াজ আজ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা যা গতকাল ছিল ১৪০ টাকা। এ ছাড়া ভারতীয় পেঁয়াজ ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে যা গতকাল সকাল পর্যন্ত ছিল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা কেজি।
মেহেদী হাসান নামে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা সকালে চাহিদামতো পেঁয়াজ পাইনি। আমাদের কিনতেই হচ্ছে বেশি দামে। সেই অনুপাতে একটু লাভ তো করতেই হবে।
খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা ফরিদ আকন্দ বলেন, আমরা ২০০ টাকা কেজি দরে পুরোনো দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছি। আর নতুন পেঁয়াজ বিক্রি করছি ১৬০ কেজি দরে। গতকালকেও পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক ছিল।
পেঁয়াজ কিনতে আসা আনোয়ার হোসেন বলেন, গত এক সপ্তাহ আগে পেঁয়াজ কিনেছি ৯০ টাকা কেজি। আজ কিনতে এসে দেখি ২০০ টাকা কেজি। আমরা মধ্যবিত্তরা সব সময় বিপদে থাকি। কেউ দেখার নেই।
বগুড়ার রাজাবাজার আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিমল প্রসাদ রাজ বলেন, পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকার কারণে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লে দাম কমে আসবে। তাও আরও কয়েক দিন লাগবে বাজার স্বাভাবিক হতে।