রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। আইন অনুযায়ী নির্বাচনী এলাকার মোট ভোটারের এক শতাংশের স্বাক্ষর জমা দিতে হয়। এক শতাংশ ভোটাররে (ভুয়া স্বাক্ষর) জালিয়াতির অভিযোগ এনে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির মনোনয়ন বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা শামীম আহমেদ ।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) সকালে যাচাই-বাছাই শেষে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা শামীম আহমেদ।
শামীম আহমেদ জানান, এক শতাংশ ভোটারের (ভুয়া স্বাক্ষর) জালিয়াতির অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
তিনি বলেন, স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে মাহিয়া মাহির যে সব ভোটারের নাম ও স্বাক্ষর দিয়েছেন সেগুলো যাচাই-বাছাই করে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। সাধারণত কোনো প্রার্থীর ১০ জনের ভোটার যাচাই করা হয়। এরমধ্যে তিনজনের সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।
রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, তার সমর্থনকারীদের মধ্যে লিলিতা মাডি নামে এক সমর্থনকারী তানোর-গোদাগাড়ী এলাকার ভোটার নয়। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচল উপজেলার ভোটার। এছাড়া আরও দুইজন সমর্থনকারীকে তাদের ঠিকানা অনুযায়ী খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে মাহিয়া মাহির মনোনয়ন পত্র বাতিল বলে গণ্য করা হয়েছে।
মনোনয়ন বাতিল নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মাহি বলেন, ‘মনোনয়ন বাতিল হয়নি, এটাকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। আমি বলব এই যে ১ শতাংশের স্বাক্ষর, এই স্বাক্ষরটা কোনো না কোনোভাবে প্রকাশ্যে আসে। আর যারা প্রতিপক্ষ আছেন, তারা তো চেষ্টা করবেন আমরা যেন নির্বাচনে অংশ নিতে না পারি।’
মাহি আরও বলেন, ‘আর এখানেই তো শেষ না। আমি আপিল করব। আপনারা জানেন যে, এর আগে আমি দলীয় এবং বঙ্গবন্ধু সংশ্লিষ্ট কাজ করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছি। সেসব বাধা অতিক্রম করেই কিন্তু আমি প্রজেক্টগুলোয় সফল হয়েছি। এবারও আমাকে বাধা দিয়ে লাভ নেই। আমি আপিল করব এবং ইনশাআল্লাহ এটাকে বিবেচনা করবেন আপিল বিভাগ।’
এদিকে শনিবার (২ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাহি লিখেছেন, যেটা খবর পেলাম সেটা যদি সত্যি হয় তাহলে আপনার কপালে খারাপ আছে বলে দিলাম যুদ্ধ ঘোষণা হবে কালকে।