মহাস্থান নিউজ:
ভরা বর্ষা মৌসুমেও বৃষ্টির দেখা নেই। এতে করে আমন চাষাবাদ ব্যহৃত হচ্ছে। এছাড়া প্রচণ্ড তাপদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। ভ্যাপসা গরমে কষ্ট পাচ্ছে পশু-পাখিরাও। তাই বৃষ্টির আশায় বগুড়ার শেরপুরে বিশেষ নামাজ (ইসতিসকার) আদায় করেছেন কয়েকশ’ ধর্মপ্রাণ মানুষ।
বুধবার সকাল নয়টায় উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের সাধুবাড়ী ফাঁসিতলা ঈদগাঁহ্ মাঠে ওই নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সাধুবাড়ী, মামুরশাহী, উচরং, ঘোলাগাড়ী ও খন্দকারটোলা গ্রামের পাঁচ শতাধিক মুসুল্লি অংশ নেন। বিশেষ ওই নামাজের আয়োজন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের মানবিক সহায়তা সংগঠন বসুন্ধরা শুভসংঘ। অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তি পেতে ওই নামাজের ইমামতি করেন শেরপুর বাসস্ট্যান্ড কেন্দ্রীয় শাহী মসজিদের খতিব মাওলানা এজাজ আহম্মেদ। দোয়া-মোনাজাতে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করার পাশাপাশি দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করা বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট সবার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন তিনি।
এরআগে দেওয়া বক্তৃতায় মাওলানা এজাজ আহমেদ বলেন, প্রচণ্ড রোদ আর গরমে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। প্রাণিকূলের অবস্থাও একই। অনাবৃষ্টি ও দুর্ভিক্ষের সময় মহানবী (সা.) সাহাবিদের নিয়ে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছিলেন। তাই আমরাও আজ এই নামাজ আদায় করলাম। এই অবস্থার যেন পরিবর্তন হয় সেজন্য উল্টো হাতে মোনাজাত করে সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থনা করলাম।
স্থানীয় মুসল্লি মাহবুবার রহমান বলেন, দিনের বেলায় প্রচণ্ড গরম। সেইসঙ্গে বিদ্যুত থাকে না। বেশকিছুদিন ধরেই এমন অবস্থা বিরাজ করছে। এছাড়া এখন ভরা বর্ষা মৌসুম। আমন চাষাবাদের উপযুক্ত সময়। কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় ফসল চাষাবাদ ব্যহৃত হচ্ছে। তাই আল্লাহর কাছে একটু বৃষ্টির আশায়় আমরা নামাজ আদায় করেছি।
বসুন্ধরা শুভসংঘের উপজেলা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল হাই বারী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের মজনু বলেন, এই গরমে শুধু মানুষ নয়, পশু-পাখিরাও কষ্ট পাচ্ছে। এটা এক ধরনের বড় দুর্যোগ। তাই এই দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে আমরা সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করার জন্য এই নামাজের আয়োজন করা হয়েছে। নামাজ ও মোনাজাত করে আমরা আল্লাহর কাছে বৃষ্টি চেয়েছি। সৃষ্টিকর্তা রহমত বর্ষণ করবেন বলে আশা করছি।
ব্যতিক্রমী এই আয়োজন সম্পর্কে জানতে চাইলে শুভসংঘের ওই দুই নেতা আরো বলেন, শুভ কাজে সবার পাশে এটি বসুন্ধরা শুভসংঘের শ্লোগান। এছাড়া দুর্যোগেও সাধারণ মানুষের পাশে থাকে শুভসংঘ। তাই বৈরী আবহাওয়ার দুর্যোগ থেকে মুক্তির জন্য এই আয়োজন করা হয় বলে জানান তারা।