স্টাফ রির্পোটার: অনন্ত সেলিম
বগুড়ায় জমি-জমার দ্বন্দ্বে মিজানুর রহমান লিটন নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার ১০ বছর পর পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। রায় ঘোষণা সময় চার আসামি উপস্থিত ছিলেন।
রোববার দুপুরে বগুড়ার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ কামরুল হাসান খান এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতরা হলেন সাইফুল ইসলাম ওরফে সেফফল, লুৎফর রহমান, বুলু , বায়েজিদ প্রামানিক, শহিদুল ইসলাম। তারা সবাই বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার জিয়ানগর ইউনিয়নের বারাহি গ্রামের বাসিন্দা। এদের মধ্যে বায়েজিদ পলাতক রয়েছেন।
আসামিদের মধ্যে সাইফুল, লুৎফর ও বুলু নিহত মিজানুর রহমান লিটনের চাচাতো ভাই। ২০১৩ সালের ২ মে রাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ফেরার পথে লিটনকে ছুরিকাহত ও গলা কেটে হত্যা করে আসামিরা। এ ঘটনায় লিটনের বড় ভাই জুলফিকার আলী বাদী হয়ে মামলা করেন।
এসব বিষয় নিশ্চিত করেন মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি কাজী রবিউল আলম মিঠু।
তিনি জানান, সাইফুল, লুৎফর ও বুলুর সঙ্গে তাদেরই আপন ভাই ফজলুর রহমানের জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। ওই দ্বন্দ্বে ফজলুর পক্ষ নেন চাচাতো ভাই লিটন। এই পক্ষ নেয়ার কারণে রাতে দোকান থেকে ফেরার পথে বাড়ির পাশের ডোবার ধারে লিটনকে ছুরিকাঘাত করে আসামিরা। পরে তার গলা কেটে হত্যা করা হয়।
কাজী রবিউল আলম বলেন, হত্যাকাণ্ডে সাতজন আসামি ছিলেন। এর মধ্যে দুজন অনেক আগেই স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেন। আর বায়েজিদ ও শহিদুল হত্যার ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে জামিনে থাকা অবস্থায় বায়েজিদ পালিয়ে যায়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আরও বলেন, মামলার অল্প কিছুদিন পরেই পুলিশ চার্জশিট জমা দিয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে শুনানির পর আজকে দুপুরে পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন বিচারক। একই সঙ্গে তাদেরকে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।