গাবতলী (বগুড়া) প্রতিনিধি : আমিনুল ইসলাম
বগুড়ার গাবতলীতে বুদ্ধি প্রতিবন্দী শিশু কে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক বাবলু (৬০) ইউপি সদস্য মুন্নুসহ ৪ জনের নামে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত সোমবার রাত ৯টায় থানা পুলিশ মিমাংসাকারী মুন্নু মেম্বার ও সহযোগী আরিফুর রহমান (৪৫) সহ ২জনকে গ্রেফতার করে এবং ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ওই রাতেই ৪জনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেছে। ধর্ষক বাবলু পলাতক রয়েছে। মামলাসূত্রে জানা গেছে, গত ২২জুলাই সকাল সাড়ে ৭টায় উপজেলার নেপালতলী ইউনিয়নের নেপালতলী উত্তর পাড়া গ্রামের ভোলা প্রামানিকের ঘর জামাই বাবলু মন্ডল (৬০) একই গ্রামের জনৈক এক ব্যক্তির বুদ্ধি প্রতিবন্দী শিশু কন্যা(১৩)কে ফুসলিয়ে বাড়ীর নিকটে একটি ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। এঘটনার রাতেই নেপালতলী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বদিউজ্জামানের ছেলে মুন্নু মেম্বার ও তার সহযোগী নেপালতলী তেরপাখি গ্রামের মোঃ টুকুর ছেলে আরিফুর রহমানসহ ৪জন এবং ওই গ্রামের কতিপয় লোকজনকে নিয়ে ঘটনার রাতেই মিমাংসার জন্য বৈঠক বসে। মুন্নু মেম্বার ওই ধর্ষনের ঘটনায় মিমাংসার যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করেন। সেখানে ধর্ষক বাবলুকে ধর্ষণের ঘটনা থেকে রক্ষা করতে ধর্ষক বাবলুর মেয়ের ১লাখ ৫০হাজার টাকা মূল্যের একটি ষাড় গরু মাত্র ১লাখ ২০হাজার টাকায় বিক্রি করে। সেই টাকা থেকে মেয়ের বাবাকে ৭০হাজার টাকায় দেয় এবং ৫০ হাজার টাকা মুন্নু মেম্বার ও সহযোগীরা ভাগবাটোয়ারা করে নেয়। এতে মেয়ের বাবা ও মা ক্ষুব্ধ হয়ে গত সোমবার বিষয়টি
গাবতলী মডেল থানার ওসি সনাতন চন্দ্র সরকারকে জানালে থানা পুলিশ সোমবার রাত ৯টায় মুন্নু মেম্বার ও সহযোগী আরিফুর রহমানকে আটক করে থানায় আনে।
এঘটনায় ধর্ষককে সহযোগিতা করার অভিযোগে এনে ধর্ষকসহ ৪জনের বিরুদ্ধে মেয়ের মা বাদী হয়ে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ধর্ষক বাবলু পলাতক রয়েছে।
এ ব্যাপারে থানার ওসি সনাতন চন্দ্র সরকারের সঙ্গে কথা বললে তিনি ধর্ষণের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনা মিমাংসাকারী ইউপি সদস্য মুন্নু মেম্বার ও সহযোগী আরিফুর রহমানসহ ২জন গ্রেফতার রয়েছে। অন্য আসামীদেরকে গ্রেতারের চেষ্টা চলছে। গ্রেফতারকৃত ইউপি সদস্য মুন্নু মেম্বার ও আরিফুর রহমানকে গতকাল মঙ্গলবার জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।