মহাস্থান নিউজ:
বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরকে আইনে করা পৃথক তিন মামলায় বগুড়ায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহবায়ক মাজেদুর রহমান জুয়েলকে গভীর রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার রাত ৩ টার পর ‘ডিবি পুলিশের’ একটি দল তাদের নিজ নিজ বাসা থেকে তুলে নেয়। পরে সকালে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
জেলা বিএনপির সভাপতি ও পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশা অভিযোগ করেন, ‘রাত সাড়ে ৩ টার দিকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনাকে শহরের সূত্রাপুরের বাসা থেকে ডিবি পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে। এর আগে রাত সোয়া ৩ টার দিকে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহবায়ক মাজেদুর রহমান জুয়েলকে পুরান বগুড়ার বাড়ি থেকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়।’
তাদের তুলে নেওয়ার পর অবশ্য সকাল ৯ টা পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। কিন্তু সকাল ১০ টার দিকে তারা গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক তদন্ত মো. শাহিনুজ্জামান জানান, ‘গতকাল বিএনপির কর্মসূচি থেকে ব্যাপক তাণ্ডব চালানো হয়েছে। এই ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। আরও বগুড়া সদর পুলিশ ফাঁড়িতেও তাণ্ডব চালিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এই ঘটনায় আরও একটি মামলা হয়েছে। তিন মামলায় মোট আসামী করা হয়েছে ৮৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলায় অনেকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখন নাম প্রকাশ করা হবে না।’
এর আগে গত মঙ্গলবার বগুড়ায় শেখ হাসিনার পদত্যাগসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা দাবিতে বিএনপির পদযাত্রাকালে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ পুলিশ সদস্য ও শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এছাড়া পুলিশের ছোড়া টিয়ারশেলের ধোঁয়ায় ইয়াকুবিয়া স্কুলের ২৭ জন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তবে তারা চিকিৎসা বাড়ি ফিরেছে।
জেলা বিএনপির উদ্যোগে শহরের মাটিডালি বিমানমোড় ও বনানী মোড় থেকে পৃথকভাবে দুইটি পদযাত্রা করে বিএনপি। মাটিডালি থেকে শুরু হওয়া পদযাত্রায় নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপি সভাপতি ও বগুড়া পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বাদশা। আর সংঘর্ষ সৃষ্টি হওয়া বনানী মোড় এলাকা থেকে পদযাত্রায় নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা৷
এসব ঘটনায় রাতে দুটি বিস্ফোরক আইনে ও একটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে। তিন মামলারই বাদী পুলিশ।
এদিকে ২২ জনের নাম উল্লেক করে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা মামলা করেছেন শাহ ফতেহ আলী পরিবহনের (বাস) চালক মো. ফেরদৌস। এই মামলায় বিএনপি তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে বলে দুপচাঁচিয়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ নিশ্চিত করেছেন।