মহাস্থান নিউজ:
বগুড়ায় বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যমুনা নদীর পানি। তবে নদীর পানির স্থিতিশীল হয়ে আসছে। আপাতত বড় আকারের বন্যার শঙ্কা নেই।
রোববার সকাল ৯টার দিকে বগুড়ার সারিয়াকান্দির মথুরাপাড়া পয়েন্ট থেকে নেয়া তথ্যে এসব জানায় জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো)।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত কয়েকদিনে পাহাড়ী ঢলে বগুড়ার তিন উপজেলার যমুনা নদীর বাম তীরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সারিয়াকান্দি উপজেলার চালুয়াবাড়ি, কাজলা ও ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ির বেশ কিছু এলাকায় ভাঙনে বাঁধ, ঘরবাড়ি ভেঙ্গেছে। তলিয়ে গেছে পাট, আউশ ধানসহ বিস্তীর্ণ ফসলের ক্ষেত।
পাউবো সূত্র জানায়, এবার বগুড়ার যমুনা নদী এলাকার প্রায় ৭৯ টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি স্থানে জিওব্যাগ ফেলে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।
দপ্তরটির সূত্র আরও জানায়, সারিয়াকান্দিতে যমুনার পানির বিপৎসীমা ১৬ দশমিক ২৫ মিটার। রোববার সকালে পানির উচ্চতা ছিল ১৬ দশমিক ১৭ সেন্টিমিটার। অর্থাৎ পানি বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
যমুনার পাশের বাঙালী নদীর বিপৎসীমা ধরা হয় ১৫ দশমিক ৪০ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় বাঙালী নদীতে ১০ সেন্টিমিটার বেড়ে ১২ দশমিক ৪৮ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এই নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার ২ দশমিক ৯২ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এসব বিষয়ে পাউবোর বগুড়া কার্যালয়ের তত্ববধায়ক প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিনের পানির ঢলে যমুনার নিম্নাঞ্চলগুলো নিমজ্জিত হয়েছে। তবে নদীর পানি স্থিতিশীল হয়ে এসেছে। আগামীকাল থেকে পানি কমতে পারে। আর কিছু ঝুঁকিপূর্ণ স্থান শনাক্ত করা আছে সেগুলোর প্রয়োজনী প্রতিরোধ ব্যবস্থা মজুত আছে। পাশাপাশি আমাদের লোকজন মাঠে রয়েছে।