মহাস্থান নিউজ:
দেশজুড়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি। এ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি ১২ হাজারের বেশি রোগী। শনিবার একদিনেই ভর্তি হয়েছেন ৮শ’ ২০ জন। তবে আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুতর অবস্থায় শিশুরা। পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশংকা করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। আর এডিস মশা নির্মূলে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।
রাজধানীর নারিন্দা এলাকার ১১ মাস বয়সী এই শিশু ১০ দিন ধরেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। জ্বর, নিম্ন রক্তচাপ, শ্বাস-প্রশ্বাস জটিলতাসহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ১ সপ্তাহ ন্যাশনাল হাসপাতালে চিকিৎসার পর তিনদিন আগে এখানে ভর্তি করা হয় শিশুটিকে। হাসপাতালে মায়ের সাথে খেলতে দেখা গেলেও বর্তমান অবস্থা বেশ নাজুক।
শিশুটির মা জানান, খারাপের দিকেই গেছে, পুরোপুরি সুস্থ্য নয় সে।
রাজধানীতে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশু ভর্তি রয়েছে ৩৯ জন।
চিকিৎসকরা বলছেন, দিনের বেশিরভাগ সময় বাসায় থাকায় শিশুদের মধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্তের প্রবণতা বাড়ছে। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম হওয়ায় বেশিরভাগ শিশুই তীব্র জ্বর, বমি, ডায়রিয়া, দুর্বলতাসহ গুরুতর অসুস্থ হয়ে ভর্তি হচ্ছে।
শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মো. কামরুজ্জামান বলেন, “ডেঙ্গু মশা সাধারণত দিনের বেলায় কামড়ায়। বাচ্চারা তো বাসায়ই থাকে, মা ব্যস্ত থাকে অন্য কাজে এবং অনেকেই মশারী ছাড়া ঘুমিয়ে থাকে। যারা জ্বর নিয়ে আসছেন তাদের পরীক্ষায় প্রতি ৬ জনের মধ্যে একজনের ডেঙ্গু পাওয়া যাচ্ছে।
শিশু হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডের ইনচার্জ ডা. মুহাম্মদ আমজাদ হোসেন বলেন, “বেশ কিছু রোগী পাচ্ছি তার ব্লাড প্রেসার কম, ইউরিন আউটপুট কম, শরীরে ফ্লুইড কম।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘন্টায় ২ জনসহ এ বছরে মোট মারা গেছেন ৬৭ জন। এর মধ্যে ২৪ শতাংশই শিশু।
এরইমধ্যে দেশের ৫৭ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু। সামনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর। এদিকে, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সবার সম্মিলিত সহযোগিতা চেয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, “ঢাকায় সবচেয়ে বেশি, সামনের দুই-তিন মাসে ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও বাড়বে। অর্থাৎ জুলাই-আগস্ট-সেপ্টেম্বরে এটি বেশি করে বৃদ্ধি পায়।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, এটা সম্মিলিত দায়িত্ব, এটা সবাই মিলে করতে হবে। ঢাকা শহরে যত লক্ষ বিল্ডিং আছে সবগুলোতে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে দেওয়া তো সম্ভব নয়।