মহাস্থান নিউজ:
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে সুলতান মাহমুদ নামে এক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১০ ইউপি সদস্য অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ করেছে। গত বুধবার জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ইউপি সদস্যরা।
অভিযুক্ত সুলতান মাহমুদ উপজেলার জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি।
অভিযোগকারীরা হলেন জালালপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জিয়াউল হক, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুস ছালাম, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবুল কালাম আজাদ, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আইয়ুব আলী সরকার, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য লিয়াকত আলী, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আনোয়ার হোসেন, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শওকত হোসেন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য লাইলি বেগম ও শ্রিপা রানী।
জানা যায়, জালালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ নির্বাচিত হবার পর থেকে পরিষদের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করছেন। দলীয় প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় রাজত্ব কায়েম করে নানা ধরনের অপরাধ করে যাচ্ছেন। এর আগে পরিষদের বিপুল অর্থ লোপাটের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় হাজতবাস করেছেন। তার অনিয়ম, দুর্নীতির প্রতিবাদ করলেই ইউপি সদস্যদের অপমান, অপদস্থ করেন। এ অবস্থার পরিত্রাণ পেতে ও তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ চেয়ে ১০ ইউপি সদস্য শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগে বলা হয়, ইউপি চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ টিআর-কাবিখা, সাধারণ ও বিশেষ বরাদ্দ থেকে ৮০-৯০ লাখ টাকা লুটপাট করেছেন। ভুয়া ও নিজের লোককে উপকারভোগী দেখিয়ে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, গর্ভবতী ভাতার টাকা আত্মসাৎ করেন। ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এনায়েতপুর থানায় মামলাও রয়েছে। এছাড়া তিনি দুর্নীতি করে স্বরুপপুর হাট পাচিল বাজারে ২ কোটি টাকার ভবন নির্মাণ ও ঢাকায় একটি বিশাল ফ্লাট কিনেছেন।
জালালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, জালালপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২৬০টি ঘর ও ১৪০টি গুচ্ছ গ্রামের ঘর ভাঙনের মুখে পড়লে চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে প্রশাসনকে না জানিয়ে বিনা টেন্ডারে প্রভাব খাটিয়ে বিক্রি করেন। যার মূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা। এ নিয়ে এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের সদস্য সুজাবুল আলম ও সাইফুল ইসলাম স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয় বরাবর অভিযোগ করেন। বিষয়টির তদন্ত চলছে।
অভিযুক্ত জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা, নির্ধারিতের চেয়ে বরাদ্দ বেশি চাওয়ায় দেয়নি বলে ইউপি সদস্যরা মিথ্যা অভিযোগ করেছে। এসব আমার প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্র।
শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান সুলতান আহমদের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।