মহাস্থান নিউজ: প্রতারণা ও চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মাহবুবা রহমান আঁখি ও তার নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় সেন্ট্রাল হসপিটালের কর্তৃপক্ষের তদন্ত প্রতিবেদন পিছিয়েছে চার দিন। বুধবার (২১ জুন) সকালে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সেন্ট্রাল হসপিটালের ডিরেক্টর ডা. এম এ কাশেম।
তিনি বলেন, আমাদের তদন্ত চলছে। আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে তদন্ত শেষ না হলে করতে পারব না। তদন্ত কমিটি আরও সাত দিন সময় চেয়েছে। আমরা চার দিন সময় দিয়েছি। যে কারণে আজকের সংবাদ সম্মেলনটি স্থগিত করা হয়েছে।
গত তিন মাস ধরে সেন্ট্রাল হাসপাতালে ডা. সংযুক্তা সাহার অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন মাহবুবা রহমান আঁখি। তার শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক ছিল। নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমেই আঁখির সন্তান প্রসব সম্ভব বলে আশ্বস্ত করেছিলেন ডা. সংযুক্তা সাহা।
৯ জুন আঁখিকে সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসকরা তার পরিবারের সঙ্গে ডা. সংযুক্তা সাহাকে নিয়ে মিথ্যাচার করে। ডা. সংযুক্তা সাহার অধীনে ভর্তি করা হলেও সেই সময়ে ওই ডাক্তার হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন না। ওই ডাক্তার উপস্থিতি ছাড়া এবং এবং রোগীর কোনোরকম চেক-আপ না করে ডেলিভারির কাজ শুরু করে দেন কয়েকজন ডাক্তার ও সহকর্মীরা। পরে আঁখি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এ অবস্থার মধ্যে নবজাতকের হার্টবিট বন্ধ হয়ে আইসিউতে মারা যায়।
এ ঘটনায় মৃত্যুঝুঁকিতে পড়েন আঁখি। সবশেষে ১৮ জুন দুপুরে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
এমন ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় মোট ছয় জনের নাম উল্লেখসহ পাঁচ থেকে ছয় জনকে অজ্ঞাত আসামি করে ‘অবহেলাজনিত মৃত্যুর’ অভিযোগ এনে একটি মামলা করা হয়।
মামলায় হওয়ার পরে অভিযুক্ত দুই চিকিৎসক ডা. শাহজাদী ও ডা. মুনাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- ডা. মিলি, সহকারী জমির, এহসান ও হাসপাতালের ম্যানেজার পারভেজ।